ইতালি হামলাকারীর ছবি প্রকাশ, আহত বেড়ে ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চলন্ত গাড়ি থেকে পথচারীদের লক্ষ্য করে ইতালির মধ্যাঞ্চলের মাসেরাতো শহরে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে মাসেরাতো শহরের রাস্তায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইভিনিং স্টান্ডার্ড বলছে, আফ্রিকান অভিবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল এক হামলাকারী। পরে ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মাসেরাতের শহরের মেয়র গোলাগুলিতে ছয়জনের আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্দেহভাজন হামলাকারীর উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। তবে সম্প্রতি শহরটিতে ১৮ বছর বয়সী এক ইতালিয়ান তরুণীকে নাইজেরিয়ার এক নাগরিক হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনার নাইজেরীয় অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার এ ঘটনার সঙ্গে শনিবারের গোলাগুলির সম্পর্ক থাকতে পারে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।

মাসেরাতো শহর পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় বলেছে, মাসেরাতো শহরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মানুষ আহত হয়েছে। পুলিশি অভিযান চলছে। রাস্তা বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে উন্মুক্ত স্থান এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে টুইটে।

পুলিশ বলছে, আহতদের সবাই বিদেশি নাগরিক। গোলাগুলির ঘটনার অন্তত দুই ঘণ্টা পর সন্দেহভাজন এক হামলাকারীকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছে মাসেরাতো পুলিশ।

পরে সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করে পুলিশ বলছে, বন্দুকধারীর বয়স ২৪ বছর। তার কাঁধে ইতালির পতাকা আঁকা ছিল।

মাসেরাতোর মেয়র রোমানো কারানসিনি ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করুন। শহরে গাড়ির ভেতর থেকে সশস্ত্র এক ব্যক্তি গুলি ছুড়েছেন। এ ঘটনায় আহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী।

তবে শনিবারের হামলার লক্ষ্য কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীরা হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে মাসেরাতোর এই মেয়র। ইতালিতে আগামী ৪ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।