রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়টি ফের ভেবে দেখার আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি ফের ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এবং অন্যান্য সংগঠনগুলো। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সম্প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সপ্তাহে ১৫০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে দেশটি। খবর রয়টার্স।

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং নাগরিকতার নিশ্চয়তা দেয়া না হলে তাদের আবারও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। কারণ রক্তপাত ও হত্যাযজ্ঞের কারণেই মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মঙ্গলবার থেকেই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনই শুরু হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসনবিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে; তবে প্রকৃত প্রত্যাবাসন শুরু হতে আরো সময় লাগবে।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি প্রত্যাবাসনকে একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি তাহলে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলো ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা, যে কোন নীতির ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে, দ্বিতীয় হলো কাঠামোগত প্রস্তুতি ও তৃতীয়টি শারীরিক বা মাঠ পর্যায়ে প্রকৃত প্রত্যাবাসন শুরু করা।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার ঘোষণা আসার পরেই বিভিন্ন সংস্থার তরফ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আবারও ভেবে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রত্যাবাসনে প্রস্তুতিমূলক কাজ অর্থাৎ যে সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে তাদের তালিকা, তথ্য সংকলন ও যাচাই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।

জেনেভা থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, প্রত্যাবাস প্রক্রিয়া সঠিক, টেকসই এবং কার্যকরী করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু আমরা সে রকম কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। এছাড়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও কোনো কথা হচ্ছে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।