আম আদমি পার্টির ২০ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল
ভারতের দিল্লির বিধানসভা থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির (এএপি) ২০ জন বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। বিধায়ক হয়েও লাভজনক পদে থাকার অভিযোগে রোববার দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দর’র অফিস থেকে এক আদেশে এএপির সদস্যদের পদ বাতিল করা হয়।
এএপির ২০ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো দেশটির নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। ফলে দিল্লি বিধানসভার এসব আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে আম আদমি পার্টি। এএপির নেতা ও দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই বলেছেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম; যাতে আরেকবার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা তাকে আহ্বান জানাতে পারি। এখন আমরা পদ বাতিলের সংবাদ পেয়েছি। এএপি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে; প্রয়োজন হলে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে।’
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন দিল্লি বিধানসভার পদচ্যুত বিধায়ক আলকা লাম্বাও। এদিকে, বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযোগ করে বলেছে, এএপিকে সহায়তা করছে নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
কংগ্রেসের নেতা অজয় মাকেন বলেন, ‘সদস্যপদ বাতিলের এ সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করেছে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে তারা এএপিকে সহায়তা করেছে। যদি রাষ্ট্রপতির এ সিদ্ধান্ত গত ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে আসতো, তাহলে এএপির ২০ বিধায়ক রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোট দিতে পারতেন না।’
বিজেপির নেতা মিনাক্ষী লেখি বলেছেন, ‘রাজ্যসভার মনোনয়নের কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে এবং কেজরিওয়াল চাপ প্রয়োগের যে অভিযোগ এনেছেন তা সঠিক নয়। এসব হচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থা; যার আইন মেনে চলতে হয়।’
গত শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠায়। এতে ২০১৫ সালের ১৩ মার্চ থেকে পরের বছরের ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আম আদমি পার্টির ২০ বিধায়ক সাংবিধানিক পদ ছাড়াও লাভজনক অন্য প্রতিষ্ঠানের পদ ধরে রাখেন বলে জানানো হয়।
একই সঙ্গে ওই বিধায়কদের সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে ২০ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল হলেও দিল্লির বিধানসভায় থাকতে আম আদমির কোনো হুমকি নেই। বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এএপির নিয়ন্ত্রণে ছিল ৬৬টি। সদস্যপদ বাতিল হওয়ায় এখন কমে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৬-এ। তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ ২০টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এএনআই।
এসআইএস/আরআইপি