ডাকাত আতঙ্কে হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা


প্রকাশিত: ০৫:২৫ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৫
প্রতীকী ছবি

ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। এই ঈদকে সামনে রেখে ডাকাত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলাসহ হাওরাঞ্চরের কয়েক লাখ বাসিন্দা।

হাওর বেষ্টিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে প্রায়ই ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। ডাকাতদের হানায় বিকেল থেকেই জেলা সদরের সাথে সরাইল ও নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়ে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে ডাকাতরা আবারও তৎপর হয়ে ওঠেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হলেও এতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সও। আঞ্চলিক এই সড়কের ধরন্তি ও কুন্ডা ব্রিজের পাশের এলাকাসহ কয়েকটি পয়েন্টে ডাকাত দল ওঁৎ পেতে থাকে।

রাতে জরুরি কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়ে জেলা সদরের দিকে আসার পথে এই সড়কে এসে ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া ডাকাতের ভয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠির।

ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জাগো নিউজকে জানান, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি ও কুন্ডা ব্রিজের পাশে প্রায় প্রতি দিন ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সকল ঘটনায় ডাকাতরা তাদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। ডাকাতদের কথামতো টাকা-পয়সা ও মালপত্র দিতে না চাইলেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। অনেকই ডাকাতের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এই সড়কে পুলিশ নিয়মিত টহল দিলেও কিছুতেই ডাকাতের উৎপাত কমছে না।

এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ডাকাতরা আরো তৎপর হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তবে ঈদে হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সে লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, আগে সাধারণ মানুষ প্রায় প্রতিদিন ডাকাতের কবলে পড়তো। কিন্তু এখন আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি।

সরাইল থেকে ধরন্তি হয়ে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করে সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আরশাদ জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ স্থানীয় ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি নেই বললেই চলে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।