‘জেরুজালেমে এখনই সরছে না মার্কিন দূতাবাস’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

এক বছরের মধ্যে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বছর খানেকের মধ্যেই মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরিত হতে পারে বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেয়ার পর ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেরুজালেম ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতির পাশ কাটিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর পশ্চিমা মার্কিন মিত্রসহ আরব বিশ্ব মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া নষ্ট হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে।

গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, সম্ভবত তিন বছরের আগে দূতাবাস সরানো যাবে না এবং এটা বেশ উচ্চাভিলাষী। এই সময়সীমার মধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি জায়গা খোঁজার কাজ করবেন, সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন। পাশাপাশি কূটনীতিকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবেন।

ইহুদি মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের কাছে পবিত্র ভূমি পরিচিত জেরুজালেম। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখলে নেয় ইসরায়েল; ফিলিস্তিন এই ভূখণ্ডের মালিকানা দাবি করে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই বিবাদের মীমাংসা হয়নি এখনো। তবে ফিলিস্তিনিরা চায় পূর্ব জেরুজালেম হবে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী।

ভারত সফরে আসা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, আপনাদের ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে এর বাস্তবায়ন হবে- এখন থেকে আগামী এক বছরের মধ্যে।’

নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের জবাবে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বিষয়টি সেভাবে এগাচ্ছে না। এই বছরের শেষের দিকে? আমরা ভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছি- আমি বুঝাতে চাচ্ছি, অবশ্যই সেটি অস্থায়ীভাবে হবে। কিন্তু আসলেই আমরা সেটি চাচ্ছি না। এটা হবে না।’

নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী মার্কিন এই দূতাবাস স্থাপনের ব্যয় বেশি হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা সুন্দর একটি দূতাবাস হবে, তবে এর ব্যয় ১২০ কোটি ডলারের বেশি হবে না। লন্ডনে নতুন মার্কিন দূতাবাসের ব্যয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে লন্ডনে নতুন একটি মার্কিন মিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প সেই সফর বাতিল করেন। পরে তার পূর্বসুরী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চিনাবাদামের বিনিময়ে পুরনো মিশন বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযােগ করেন ট্রাম্প।

তবে তিনি স্বীকার করে বলেন, লন্ডনে দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ নিয়েছিলেন; কিন্তু সেটি বাজেটের চেয়ে বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হয় ওবামার শাসনামলে।

সূত্র : রয়টার্স।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।