সেনা আশ্রয়েই থাকতে হবে রোহিঙ্গাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৯ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সম্প্রতি একটি চুক্তি করেছে মিয়ানমার। চুক্তি অনুযায়ী, সপ্তাহে ১৫০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে দেশটি। সাম্প্রতিক নিবন্ধন বলছে, বাংলাদেশে নতুন পুরনো মিলিয়ে দশ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা বলা হলেও এখনো মিয়ানমারে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, এখনই রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

একটি বেসরকারি সংস্থার প্রধান মেঘনা গুহঠাকুরতা বলছেন, চুক্তি অনুযায়ী স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যারা যাবে তাদের তো সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আশ্রয়েই থাকতে হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।

তিনি বলেন, ধরুন হিন্দু রোহিঙ্গারা বলছেন, সরকার চাইলে তারা ফেরত যাবেন। অনেকে সরাসরি নির্যাতিত হননি কিন্তু অন্যরা পালিয়ে এসেছে বলে তারাও এসেছে। এখন ফেরত নিলেও তাদের বাড়িঘর পুড়ে গেছে। তাদের জন্য থাকার কোনো জায়গা নেই। তাই ফিরে গেলে যখন তখন আবারও সেই একই সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।

মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর কি আস্থা রাখা যায়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই না। যতক্ষণ তারা নাগরিকত্ব না পায় আর আন্তর্জাতিক সংস্থার তদারকি ছাড়া তারা যাবেনা এটাই তারা (রোহিঙ্গা) বলছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকার পেছনে বেসরকারি দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থারও স্বার্থ আছে- এ অভিযোগের সত্যতা কতটুকু?

তিনি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি সেটি সরকার মোকাবেলা করতে পারবেনা। তাই আন্তর্জাতিক সংস্থার থাকা প্রয়োজন। আর আন্তর্জাতিক সংস্থা চায় শরণার্থীদের যেনো পুশব্যাক না করা হয়। এটি সত্যি যে এখানে লাভবান হওয়ার মতো অনেক পক্ষ আছে। কিন্তু দেখতে হবে রোহিঙ্গাদের যে চাহিদাগুলো সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করা হচ্ছে কিনা।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।