সন্ত্রাস দমন মিডিয়া আইন সংশোধনে মিশরের সম্মতি
মিশর বুধবার তাদের সন্ত্রাস দমন আইনের মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদটি সংশোধনে সম্মত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানায়।
মিসরের সন্ত্রাস দমন আইনের উল্লিখিত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিহাদি আক্রমণ বিষয়ে সরকারি নীতির বাইরে গিয়ে কোনো কিছু রিপোর্ট করা হলে সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটিতে সন্ত্রাসী হামলা বিষয়ে সরকারি ভাষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ‘ভুল তথ্য’ প্রকাশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের অন্তত দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হলে মিশরীয় সংবাদ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এমইএনএ জানায়, মিশরের মন্ত্রিসভা বুধবার প্রস্তাবিত আইনের অনুচ্ছেদ ৩৩-এর অধীনে কারাদণ্ডের বিধানটি অপসারণ করতে সম্মত হয়েছে। তবে এর স্থলে বড় অঙ্কের জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
সরকারি মুখপাত্র হোসাম কোয়াইশের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা জানায়, ‘মন্ত্রিসভা অনুচ্ছেদ ৩৩-এর অধীনে কারাদণ্ড অপসারণ করে এর স্থলে জরিমানার অংক বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। জরিমানার পরিমাণ হবে দুই থেকে পাঁচ লাখ মিশরীয় পাউন্ড।’
তবে মিসরীয় জার্নালিস্ট সিন্ডিকেটের কর্মকর্তা খালেদ আল-বালচি বলেন, এই সংশোধন ‘অন্য ধরনের বন্দিত্ব’ সৃষ্টি করেছে। কেননা, জরিমানার অঙ্ক অধিকাংশ সাংবাদিকদের সামর্থের বাইরে।
খালেদ আইনটির একনায়কীয় যুক্তির নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এই আইনটির লক্ষ্য দেশের ভেতরের সকল বিরোধী কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে ফেলা।’
সাংবাদিকদের সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল খসড়া আইনটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও সমিতির অধিকারের ওপর নগ্ন হামলা। এটি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার সুরক্ষা দুর্বল করেছে এবং মৃত্যুদণ্ড ব্যবহারের সুযোগ সম্প্রসারিত করেছে।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক কর্মসূচির উপ-পরিচালক সাঈদ বুমেদুহা বলেন, এই আইনটি পাস হলে এটি সকল ধরনের ভিন্নমত দমনে কর্তৃপক্ষের জন্য আরো একটি হাতিয়ার হবে।
একে/পিআর