ধর্ষিত কিশোরীর ছিন্ন-ভিন্ন মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮

প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ১৫ বছর বয়সের এক কিশোরী। এক সপ্তাহ পর শনিবার তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিশোরীর গোপনাঙ্গসহ শরীরে ১৯টি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভয়াবহ নিপীড়ন চালিয়ে ধর্ষণের পর ঘাতকরা তাকে এমনভাবে হত্যা করেছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা প্রদেশে। চিকিৎসকরা বলছেন, তার যকৃত, ফুসফুস বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তার গোপনাঙ্গে শক্ত এক ধরনের বস্তু প্রবেশ করানো হয়েছিল।

হরিয়ানার পানিপথ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মৃত এ কিশোরীকে আবারো ধর্ষণ করে ঘাতকেরা। অভিযুক্ত দুই প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ কিশোরী শনিবার আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়।

পরদিন রোববার হরিয়ানার ফরিদাবাদে ২২ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে একটি এসইউভি গাড়িতে উঠিয়ে তাকে দুই ঘণ্টা ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।

গত কয়েকদিনে হরিয়ানায় ধর্ষণের ঘটনা এমনভাবে বেড়েছে যা নজিরবিহীন। কয়েকদিন আগেই হরিয়ানা রাজ্য সরকার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ নামে বড় পরিসরের এক কর্মসূচির ঘোষণা করে।

প্রাইভেট পড়তে বেরিয়ে ধর্ষণ, নিপীড়নের পর হত্যার শিকার ওই কিশোরী হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার এক গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার এ রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের পর মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ছুড়ে মারার ঘটনার সঙ্গে তুলা করা হচ্ছে। ব্যাপক অালোড়ন সৃষ্টিকারী ওই ঘটনাকে নির্ভয়া হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত।

কুরুক্ষেত্র থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে জিন্দ এলাকার একটি নালায় অর্ধ-নগ্ন ও ছিন্নভিন্ন মরদেহ পাওয়া যায় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। উদ্ধারের সময় কিশোরীর শরীরে শুধুমাত্র একটি ছেঁড়া শার্ট ছিল। তার গলা, মুখ, ঠোট ও বুকে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গোপনাঙ্গ বিকৃতসহ শরীরে আরো অনেক আঘাতের ক্ষত রয়েছে।

রোহতক হাসপাতালের চিকিৎসক এসকে দাত্তারওয়াল বলেন, ‘কিশোরীর গোপনাঙ্গে শক্ত কিছু ঢুকিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। তার শরীরে যৌন নির্যাতনের আলামত স্পষ্ট। তিন থেকে চারজন এ ঘটনায় জড়িত। তাকে পানিতে চোবানোর আলামতও পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘মেয়েটি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তাও স্পষ্ট। কিন্তু তাকে আবার ধরা হয় এবং তার বুকের ওপর কেউ একজন চেপে বসেছিল।’

প্রশাসনের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে তা ভয়াবহ। তাকে নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

গত মাসে হরিয়ানার হিসার জেলায় পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার আগে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় তাকে।

সূত্র : এনডিটিভি।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।