গাইবান্ধায় শেষ সময়ে চলছে জম্পেশ ঈদ কেনাকাটা
গাইবান্ধায় শেষ সময়ে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে আসা মানুষের ভিড়ে হাঁটাচলা করা দায়। শেষ সময়ে বিশেষ করে তরুণীরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় অভিজাত বিপণী কেন্দ্রগুলোতে আসছেন। তাদের পছন্দের কাপড়চোপড়ে প্রতিটি দোকান ভরে গেছে। বেড়ে গেছে কাপড়ের বিক্রিও। পছন্দের কাপড় কিনতে আসা একটি বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী শামসিয়া খাতুন জাগো নিউজকে জানান, ঢাকাতে সুযোগ হয়নি, তাই এলাকায় মার্কেট করছি।
এখন সিট ও থান কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতারা কম ভিড় করছেন। কারণ, টেইলার্সগুলাে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। টেইলার্স মাস্টার চান মিয়া জাগো নিউজকে জানান, এখন অনেক কাজের চাপ। অতিরিক্ত লোক লাগিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, খান প্লাজা, তরফদার ম্যানসন, রেজিয়া ম্যানসন, ইসলাম প্লাজা, পৌর মার্কেট, শাপলা মার্কেট, প্রাণ গোবিন্দ প্লাজা, পার্ক ভিউ সুপার মার্কেট, শাপলা মার্কেট, ইসলাম প্লাজা, কাজী টাওয়ার, থান পট্টিসহ স্টেশন রোডের বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে এখন সাজ সাজ রব।
অনেক মার্কেটে অতিরিক্ত আলোক সজ্জাসহ বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দোকানেই দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কর্মচারী ও মালিকদের অবসর নেই। অনেক ব্যবসায়ী আগে ভাগেই অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দোকানে বেচা বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন।
শহরের স্টেশন রোডের রঙ্গন গার্মেন্টেসের স্বত্বাধিকারী মাসুম আহম্মেদ জাগো নিউজকে জানান, শিশু, নারী ও পুরুষদের অত্যাধুনিক পোশাকের সমাহার ঘটানো হয়েছে। পাখি, ফ্লোর টাচ, লং ফ্রগ, বোঝেনা সে বোঝেনা, লুঙ্গি ড্যান্স, বাহা, জিপসী, ফ্রক, ব্লিজ কটন, ঝিলিক বিভিন্ন নামের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটগুলোতে। শিশুদের পোশাক ১ হাজার থেকে ১০/১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। নতুন নামে ও ডিজাইনে জিন্স প্যান্ট, শর্ট পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি রাখা হয়েছে দোকানে।
শাড়ির দোকানগুলোতেও এসেছে নতুন ডিজাইনের কাপড়। আবির বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী জাগো নিউজকে জানালেন, জামদানি, বুটিক, তসর, টাঙ্গাইল, পাবনা, রাজশাহী সিল্ক শাড়ির পসরা সাজানো হয়েছে পর্যাপ্ত। সাড়ে ৩ থেকে ১৬/১৯ হাজার টাকা করে দাম হাঁকা হচ্ছে শাড়ির ডিজাইন অনুযায়ী।
তিনি আরো বলেন, এবারে বিক্রি অনেকটা ভালো। সুকণ্যা বুটিকের মালিক হাসান ইকবল রিপন জানান, বিবাহিত ও চাকরিজীবী তরুণীরা এবার টাঙাইলের টিস্যু সিল্ক, তসর সিল্ক ডেনু সিল্ক, কাদম্বিনী শাড়িতে মজেছেন। তবে পালয্য, নন্দিনী, কিরণমালা, অরবিন্দ, জয়পুরী শালোয়ার কামিজের চাহিদাও প্রচুর। দাম ১৫০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে। কলেজ ছাত্রী অরিণ আকতার জানান, অন্যবারের চাইতে এবার দাম কিছুটা বেশি হলেও মানসম্মত কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
স্টেশন রোডের পুম্পা গার্মেন্টের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান খান আবু জাগো নিউজকে জানান, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, সাদুল্যাপুর, ফুলছড়িসহ চরাঞ্চলের ক্রেতারা এবারে ব্যাপকহারে কেনাকাটা করছেন। শুধু কাপড় চোপড়ে নয়, সোনা, রুপার দোকানেও প্রচুর ভিড়। এছাড়া ঈদকেন্দ্রিক ব্যস্ততা বেড়েছে বিউটি পার্লারের কর্মীদেরও।
অমিত দাশ/এমজেড/আরআইপি