শার্শায় চাঁদা না পেয়ে দোকানের মালামাল ভাঙচুর
৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারে জিয়াউর রহমানের সিটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানে বুধবার সন্ধ্যায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ভেঙে দিয়েছনে। এসময় নগদ টাকাসহ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামালও লুট করে নিয়ে যান তারা।
এ ঘটনার পর বাগআঁচড়া বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হলে দু‘জনকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ী জিয়াউর ও তার পরিবার। জিয়ার উপর হামলা চালাতে সন্ত্রাসীরা বাগআঁচড়া বাজারে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের আটক করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিটি ইলেকট্রনিক্সের মালিক জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বাগআঁচড়া এলাকার আনিসুর রহমান মোড়ল ও মোস্তাফিজুর রহমান বেশ কিছুদিন যাবৎ তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাদের দুজনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সেলিম হোসেন, শাহিন হোসেন, সম্রাট হোসেনসহ কয়েকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দোকানে হামলা চালান। এসময় তারা লোহার রড়, হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে দোকানে বিক্রির জন্য রাখা টেলিভিশন, ফ্রিজ, টেবিল ফ্যান, সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিস্ক সামগ্রী ভেঙে গুড়িয়ে দেন। এসময় তারা প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক সামগ্রী লুট করে নিয়ে যান।
পরে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকাও নিয়ে গেছেন সন্ত্রাসীরা। এসব করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হননি তারা একের পর এক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার মাধ্যমে বলছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। অব্যাহত হুমকির মুখে জীবনের ভয়ে জিয়াউর বাড়ি থেকে তার দোকানে আসতে পারছেন না।
বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের সময় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এভাবে হামলা চালানো উচিত হয়নি। যে পরিমাণ মালামাল ভেঙে নষ্ট করা হয়েছে তাতে একজন ব্যবসায়ীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে শার্শা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ইলেকট্রনিক্সের দোকানে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে বাগআঁচড়া বাজারে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দোকান মালিক জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনিসুর রহমান মোড়ল ও নুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মো. জামাল হোসেন/এমজেড/আরআইপি