নীলফামারীর ছিটমহলবাসীরা পেলেন ভিজিএফের চাল
ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তির দলিল পাশ হবার পর এবারই প্রথম আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ৪টি ছিটমহলের বসবাসকৃত পরিবারগুলোর মাঝে সরকারের দেয়া ভিজিএফের চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার ওই চার ছিটমহলের ১১৯টি পরিবারের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের সীমানায় থাকা ২৮ নম্বর বড়খানকী ছিটমহলের ২১ পরিবার, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের সীমানায় থাকা ২৯ নম্বর বড়খানকী গীতালদহ ছিটমহলের ৪৫ পরিবার ও ৩০ নম্বর বড়খানকী গীতালদহে ৮ পরিবার এবং টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের সীমানায় থাকা ৩১ নম্বর নগর জিকাবাড়ি ছিটমহলের ৪৫ পরিবারসহ ১১৯ পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী সদস্য সংখ্যা ৫০২ জন।
৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার রায়, জিয়ারুল হক, আবুল কামাল, হযরত আলী জাগো নিউজকে জানান, তারা বাংলাদেশ সরকারের দেয়া ছিটমহলের প্রতি পরিবার ১০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বুঝিয়ে পেয়েছেন। একই কথা জানালেন, অন্যান্য ছিটমহলের বাসিন্দারাও। তারা বাংলাদেশ সরকারের এই চাল পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলা হলে খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন ও টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জাগো নিউজকে জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী ছিটমহলবাসীর তালিকা করে প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে এই চাল প্রদান করা হয়।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জাগো নিউজকে জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ওই চারটি ছিটমহলের ১১৯ পরিবারকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
এদিকে বুধবার ছিটমহলের জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়নি। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের ছুটি ঘোষণার কারণে জনগণনা বন্ধ রাখা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনগণনায় নীলফামারীর ছিটমহলে আর মাত্র ৩ পরিবারের নিবন্ধন বাকি রয়েছে। যা জনগণনার শেষ দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সম্পন্ন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৬ জুলাই থেকে জনগণনায় নীলফামারীর চারটি ছিটমহলে এ পর্যন্ত ১১৬টি পরিবার নিবন্ধন করেছে। উল্লেখ্য, যে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৬২ ছিটমহলের যৌথ জনগণনা গত ৬ জুলাই থেকে শুরু করা হয়।
জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি