পশ্চিমা আগ্রাসন ঠেকাতে ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ করলো ইরান
প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। রোববার দেশটির সরকারি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে ‘পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’র পথ উন্মুক্ত হয়।
অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত ২৮ ডিসেম্বর ইরানে বিরোধীদের বিক্ষোভের পর দেশটিতে ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া হলো। ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ক্রমান্বয়ে সরকারবিরাধী বিক্ষোভে পরিণত হওয়া এই প্রতিবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজারের বেশি প্রতিবাদকারীকে।
রাষ্ট্রীয় উচ্চ শিক্ষা পরিষদের প্রধান মেহদি নাভিদ আদম দেশটির সরকারি এক টেলিভিশনকে বলেন, ‘সরকারি এবং বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলে ইংরেজি শিক্ষার বিধান রাখা দেশের আইন ও নীতিমালার বিরোধী।’
তিনি বলেন, ‘ইংরেজি নিষিদ্ধের কারণ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের ইরানি সংস্কৃতি শিক্ষার মূলভিত্তি হলো প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা।’ পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সরকারি এ কর্মকর্তা।
ইরানে সাধারণত মাধ্যমিক স্কুলে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শেখানো হয়। তবে কিছু কিছু প্রাথমিক স্কুলে এ বয়সের নিচের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ক্লাস করানো হয়। তবে স্কুলের বাইরে অনেক শিক্ষার্থী ভাষা শিক্ষার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এছাড়া হাই স্কুলের মাধ্যমেও অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি প্রাইভেট পড়ে।
দেশটির নেতারা প্রায়ই পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেন নাগরিকদের। ২০১৬ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নার্সারি স্কুলে ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারের ঘটনায় শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমএস