যথাযোগ্য মর্যাদায় লাইলাতুল ক্বদর পালিত
আল্লাহর সঙ্গে বান্দার পরম ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর। ২৬ রমজান দিন শেষে মাগরিবের নামাজের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যেকটি মসজিদে দোয়া ও নামাজের মাধ্যমে রোজাদার বান্দাগণ কাটিয়ে দিয়েছেন সারা রাত। ওয়াজ নসিহত বয়ানে মুখরিত ছিল মসজিদগুলো। বিরাজ করেছিল জান্নাতি পরিবেশের এক বিরল আবহ। পৃথিবীর সব মুসলিম নিজেদের গুনাহ মাফ এবং বেশি সওয়াব হাসিলের জন্য নফল এবাদত তথা নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার এবং বিশেষ দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে এ পবিত্র রাতটি অতিবাহিত করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস অনুযায়ী, এ রাতটি লাইলাতুল ক্বদরের রজনী ধরেই মুসলিম মিল্লাত আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা সাধনা করে গেছেন। যার বর্ণনা সুরা আল ক্বদরের ৫টি আয়াতে করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। তাইতো সাহাবায়ে কেরামগণের বেশির ভাগ মনে করতেন, ২৭ রমজান পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর। তাইতো সারা বিশ্বের মুসলমান এ রাতকে লাইলাতুল ক্বদর হিসেবে পালন করেছেন।
আজ বুধবার পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উপলক্ষে সরকারি ছুটি। লাইলাতুল ক্বদর অর্থ মর্যাদাপূর্ণ রজনী। যা সমগ্র বিশ্বের মুসলমানের কাছে অত্যন্ত মর্যাদার এবং কল্যাণের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ রজনীতেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারিম। আর কুরআন নাযিলের কারণেই আল্লাহ এ রাতকে মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। তাইতো এ রাতের ইবাদতের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও লাইলাতুল ক্বদরের সন্ধানে রাত কাটিয়ে দিতেন এবং সাহাবাদেরকেও বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করার নির্দেশ দিতেন। শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে এ রাতকে তালাশের কথা বলেছেন। তবে আমাদের দেশই নয় শুধু সমগ্র পৃথিবীতে ২৬ রমজান দিবাগত রাত তথা ২৭ রমজানকেই লাইলাতুল ক্বদর হিসেবে সারা রাত ইবাদত-বন্দেগীতে অতিবাহিত করেন।
এমএমএস/এসআইএস/এমএস