চুলা নিয়ে খেলতে গিয়েই অগ্নিকাণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে এক বছর বয়সী সাত শিশুও ছিল। অগ্নিকাণ্ডে আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিউ ইয়র্কের দমকল বাহিনীর প্রধান ড্যানিয়েল নিগ্রো বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে একটি শিশু তাদের রান্নাঘরে জ্বলন্ত চুলা নিয়ে খেলছিল। আর তা থেকেই ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন আগুন খুব দ্রুত সিঁড়ি ঘর দিয়ে উপরে উঠে যায়, যার ফলে ভবনের বাসিন্দারা খুব কম সময় পেয়েছিল।

শহরের ব্রংক্স এলাকায় গত আটাশ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

দমকল বাহিনীর প্রধান বলেন, যে শিশুর কারনে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে তার বয়স মাত্র তিন বছর। আগুনের সূত্রপাত হবার সাথে সাথেই শিশুটির মা তার দুই সন্তান নিয়ে দ্রুত বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় তিনি দরজা খোলা রেখে যান। ফলে সে বাসা থেকে আগুন বেরিয়ে সিড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, সিড়ির জায়গা একটি আগুনের চিমনি হিসেবে কাজ করেছে এবং এর মাধ্যমে আগুন দ্রুত উপরের দিকে ছড়িয়েছে। যখন আগুনের সূত্রপাত হয় তখন তখন শিশুটির মা জানতো না। চিৎকারের ফলে তিনি আগুন লাগার ঘটনা জানতে পারেন।

তখন তিনি তার দুই বছর এবং তিন বছরের দুই সন্তান নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যান। আগুন এতো দ্রুত উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে যে বাসিন্দারা বুঝে উঠতে পারেনি। তারা নিচে নামতে পারেনি। যারা নামার চেষ্টা করেছে তাদের কয়েজন সেখানেই পুড়ে মারা গেছে।

নিহতদের নাম এখনো প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। আগুন নেভানোর জন্য ১৭০ জন দমকল কর্মী কাজ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দু’জন শিশুকে জড়িয়ে থাকা এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে তিনি শিশুসহ নিজেকে বাঁচাতে বাথটাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

অগ্নিকান্ড থেকে যারা বেঁচে গেছেন তাদের অনেকেই পায়ে কোন জুতা কিংবা গরম কাপড় সাথে আনতে পারেন নি।

তীব্র শীতের মধ্যে তারা রাস্তায় নেমে আসেন। রাস্তায় আসা বাসিন্দাদের শীত নিবারণের জন্য কম্বল দিয়ে সহায়তা করেছে রেডক্রস।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।