কিরণমালা ও চেন্নাই এক্সপ্রেসে সয়লাব বগুড়ার ঈদ বাজার
আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বগুড়ার ঈদ বাজার। কিরণমালা ও চেন্নাই এক্সপ্রেসে ছেঁয়ে গেছে এবারের ঈদ বাজার। এছাড়া ঝিলিক, পাখি, গঙ্গা, কুমকুমসহ ব্লক ও বাটিকের চাহিদার কথা তো বলাই যাবে না।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে শপিংমল থেকে শুরু করে জেলা শহর জুড়ে ঢল নেমেছে মানুষের। যে যেখানে পারছে পরিবারের বা প্রিয়জনের জন্য নতুন পোশাক কেনাকাটা করছেন। ঈদে নতুন জামা কাপড় কিনতে ধনী-গরিব সবাই ছুটছেন মার্কেট বা বিপণিবিতানে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম থাকছে শহরের বিক্রয়কেন্দ্রগুলো।
নিউমার্কেট, শেখ শরিফ উদ্দিন সুপার মার্কেট, জামিল শপিং কমপ্লেক্স, আল আমিন কমপ্লেক্স, হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের উৎপাদিত বুটিক পণ্য নিয়ে তাদের বিপণি সাজিয়েছেন। এর মধ্যে শহরের এসপি ব্রিজ লেনের প্রথমা, মালতিনগরের আঁচল, জলেশ্বরীতলার অনন্যা, সুতি সম্ভার, ঠিকানা, শখ, রিমঝিম অন্যতম। এসব বিতানে হাতের তৈরি জামা-কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
এসকল পোশাকের মধ্যে রয়েছে হাতের তৈরি থ্রি পিস ১৩৫০ থেকে ২৫০০ টাকা, তরুণীদের ফতুয়া ৪৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, অ্যামব্রুডারি থ্রি পিস ৮৫০ থেকে ২৫০০ টাকা, পাখি থ্রি পিস ২৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকা, টাঙ্গাইল শাড়ি ৯৫০ থেকে ৪৫০০ টাকা, কিরণমালা থ্রি পিস ১৮৫০ থেকে ৬০০০ টাকা, বিছানার চাদর ১৪০০ থেকে ২৩৫০ টাকা।
জলেশ্বরীতলা এলাকার একজন দোকানি জানান, ঈদে শহরের তরুণীরা কিরণমালা, চেন্নাই এক্সপ্রেস, চেন্নাই এক্সপ্রেস-৩ বেশি কিনছেন।
নারীদের পোশাক বিক্রেতা আঁচল বুটিক এর মালিক উম্মে ফাতেমা লিসা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন ফ্যাশনের ওপর নির্ভর করে পোশাক তৈরি ও বিক্রি করে। ক্রেতাদের রুচি ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করেন তারা। দেশীয় ঐতিহ্যে বিভিন্ন কারুকাজ করা ব্লক এবং প্রিন্টসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানের পোশাক তারা উঠিয়েছেন। দাম সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।
শহরের মালতীনগরের নারী উদ্যোক্তা নিভা রানী সরকার জানান, চলতি ঈদে বিক্রি কিছুটা কম। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। তারপরও প্রয়োজন তো থেমে নেই।
তবে সকলেই জানান যে, বিগত বছরগুলোর আকর্ষণ ঝিলিক, মাসাককলি, পাখি, আনারকলি, খুশি, জিপসি নানা নামের পোশাককে পেছনে ফেলে এই ঈদে সব বয়সী মেয়েদের প্রথম পছন্দ রকমারি কিরণমালা। পাশাপাশি পাকিস্তানি ও ভারতীয় জর্জেটের থ্রি-পিসের চাহিদাও বেশ।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মেয়েদের এ পোশাকগুলো দাম বেশ চড়া। প্রতিটি থ্রি-পিসের দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বেনারসি, জামদানি, কাতান, সিল্ক, জর্জেটসহ রং বেরংয়ের বাহারি শাড়ি ১ থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
নিউ মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী আবুল ফরিদ জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অন্য পোশাককেও কিরণমালা বলে চালাচ্ছে। কিন্তু সেটা ক্রেতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
সঞ্চিতা, সম্পা, সুমনা, ইয়ামিনাসহ একাধিক তরুণী জানান, ঈদে পোশাকের মধ্যে তাদের প্রথম পছন্দ কিরণমালা। কারণ কিরণমালা নামটি শুনতে শুনতে তারা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
লিমন বাসার/এসএস/এমআরআই