পুলিশের ফাঁদেই ধর্ষণের শিকার কিশোরী!


প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৫

ধর্ষকদের ধরতে ফাঁদ পেতেছিল ভারতের মহারাষ্ট্রের পুলিশ। তবে সেই ফাঁদই কাল হল ধর্ষিতা কিশোরীর জন্য। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলনা শহরে।

অভিযুক্তদের ধরতে ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অভিযুক্তরা সুযোগের সদ্ববহার করে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে।

গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কথা মতো ফিল্মি স্টাইলে ধর্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বার ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। পুলিশ নায়কের ভূমিকা রেখে তাকে রক্ষা করতে পারেনি। ঘটনার জেরে সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকেও অবশ্য পরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 
পুলিশ জানিয়েছে- গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার এক বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিল। নয়া রোডের একটি নির্জন জায়গায় তাদের ঘিরে ধরে দুই দুষ্কৃতীকারী। কিশোরীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করে তারা। অভিযুক্তদের দুজনেরই বয়স ২০ বছরের মতো। তারা কিশোরীর মোবাইলও ছিনিয়ে নেয়। মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও তুলে রাখে।
 
বাড়িতে ফিরে কিশোরী মাকে ঘটনার কথা জানায়। বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এরপরই অভিযুক্তরা কিশোরীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। তারা দুই হাজার টাকা দাবি করে।

বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ক্লিপসহ কিশোরীর মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। বৃহস্পতিবার তারা কিশোরীকে একটি ফ্লাইওভারে এসে মোবাইলটি নিয়ে যেতে বলে। অভিযুক্তদের ফাঁদে ফেলা যাবে ভেবে পুলিশ কিশোরীকে সেখানে যেতে বলে।

পুলিশের কথামতো কিশোরীটি বাইকে চড়ে সেখানে যায়। কিন্তু মাঝপথেই দুষ্কৃতিরা তাকে নিকটবর্তী একটি ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ফের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
ওই কিশোরী পুলিশের কাছে ফিরে ঘটনার কথা জানায়। এলাকায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিশোরীর মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়নি।
 
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ঘটনাস্থলে এসে সহকারী ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেন। মহকুমা পুলিশ অফিসারকে তিনি ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএইচএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।