অবরোধের মধ্যেই জাতীয় দিবস উদযাপন করছে কাতার
সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যেই জাতীয় দিবস উদযাপন করছে কাতার। দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত রোববারই দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক অবরোধের কারণে কাতার আরও শক্তিশালী হয়েছে।
‘সম্মান ও কল্যাণের সুসংবাদ নাও’ শিরোনামে তিন দিনব্যাপী জাতীয় দিবস উদযাপন শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া শাখার প্রধান আহমাদ বিন সাঈদ রমাহি জানান, ‘কাতারের এবারের জাতীয় দিবস উদযাপন ভিন্ন বার্তা ও গভীর প্রত্যয় নিয়ে আসছে।
সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশটির ২৭ লাখ বাসিন্দা উৎসবে মেতে উঠেছে। ১৮৭৮ সাল থেকে ১৮ ডিসেম্বর দোহায় সরকারি ছুটি থাকে। আর ওইদিনই কাতারের জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি গত শনিবারই ঘোষণা দিয়েছেন, ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি থাকবে। তিনশ ছোট আকারের ড্রোন আকাশে উড়বে। এছাড়া আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টায় সেনাবাহিনীর প্যারেড অনুষ্ঠিত হওয়ার শিডিউল ছিল।
তবে গত বছর সিরিয়াবাসীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দিবস উদযাপন বাতিল করেছিল দোহা। দিবস উদযাপনের বদলে আলেপ্পোর জন্য ৭০ মিলিয়ন ডলার দান করেছিল কাতার।
এ বছর সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যেই দিবসটি উদযাপন করছে দোহা। ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং মুসলিম ব্রাদারহুডসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন-পালনের অযুহাতে চলতি বছরের ৫ জুন দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি জোট। তবে সেই সব অভিযোগ বরাবরই নাকচ করে দিয়ে আসছে দোহা।
সৌদি জোটের অবরোধ আরোপের পর কাতারের জাতীয় দিবস উদযাপন এটাই প্রথম। সে কারণে এবার দিবসটি উদযাপনে অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করছে।
সূত্র : আল জাজিরা
কেএ/এমএস