মঙ্গলের কক্ষপথে ভারতের মহাকাশযান


প্রকাশিত: ০৩:৪৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

লাল গ্রহ মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে ভারতের মহাকাশযান। দেশটির জন্য মহাকাশ গবেষণায় এ এক নতুন ইতিহাস।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ভারতের মহাকাশযান মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করে। ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মহাকাশ গবেষকদের সঙ্গে যোগ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতের বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল মঙ্গলায়নের এ দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। উল্লেখ্য, ভারত মার্স অরবিট মিশনের নাম দিয়েছে মঙ্গলায়ন। গণমাধ্যমের খবর মতে, ভারতের জনগণ ঐতিহাসিক এ মুহূর্তে জয়ধ্বনিতে মেতে ওঠেন।

সফলভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে ভারতীয় মহাকাশযান প্রবেশের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারতই প্রথম দেশ, যারা প্রথম পদক্ষেপে সফলভাবে লাল গ্রহের কক্ষপথে নভোযান পাঠাতে পেরেছে।’ সফল অভিযানের জন্য তিনি ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানান।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতই প্রথম মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম হলো। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় স্পেস মিশন এ কাজে সফল হয়। তবে তারা কেউই প্রথম পদক্ষেপে সফল হয়নি।

২০১৩ সালের নভেম্বরে ভারতের মঙ্গল মিশন শুরু হয়। টানা ৩০০ দিন মহাকাশে ঘুরে অবশেষে বুধবার সকাল ভারতীয় সময় ৮টায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায় এ মিশন। মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশের পর ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলযানের সব ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি নিঁখুতভাবে কাজ করছে।
 
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরো বলেছেন, ‘মঙ্গল অভিযানে সফলতার মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে ভারত শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছে। ৩০০ দিনের ধারাবাহিক অভিযাত্রায় ৬৯০ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মহাকাশযানটি কক্ষপথে প্রবেশ করেছে, যা এ ধরনের অভিযানে রেকর্ড।’
 
২০১২ সালের ৩ আগস্ট ভারত সরকার মঙ্গল অরবিট মিশন অনুমোদন দেয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মিশন শুরু হয়। এত খরচ হয়েছে ৪৫০ কোটি ভারতীয় রুপি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।