কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়ায় নৌযান চলাচল ব্যহত : ঘাটে তীব্র যানজট


প্রকাশিত: ০৪:২৭ এএম, ১০ জুলাই ২০১৫

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের অন্যতম নৌপথ মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া ফেরিঘাটে সকল প্রকার নৌযান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। বুধবার বিকেল থেকে শিমুলিয়া পাড়ের ৩নং ফেরি ঘাটটি পন্টুনের জেটি থেকে  বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ৩টি রোরা ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল সকল ফেরি চলাচল।

এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে উত্তাল হয়ে উঠে পদ্মা নদী। এসময় লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে। তাছাড়া সারাদিনই বৃষ্টি ও বাতাস থাকায় ফেরি চলাচল ব্যহত হয়েছে। ফলে উভয় ঘাটেই দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

বিআইডব্লিউটিএ এর একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পদ্মায় লঞ্চ চলাচল করছে থেমে থেমে। বড় লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়লেও সারাদিনে ছোট লঞ্চ তেমন একটা চলাচল করেনি। বৃষ্টি ও বাতাস থাকায় পদ্মা উত্তাল রূপ ধারণ করেছে। ফলে লঞ্চ চলাচলে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। তাছাড়া স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে সারাদিনের প্রবল বর্ষণে কাওড়াকান্দি ঘাট এলাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। লঞ্চ, ফেরি চলাচল ব্যহত হওয়ায় যাত্রীদের ভিড় লেগেই ছিল সারাদিন। যাত্রী ছাউনি না থাকায় বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সকল যাত্রীদের।

বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষারত পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। মাওয়া রোরো ফেরি পন্টুন থেকে জেটি বিছিন্ন হওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সারাদিন রোরো ফেরি চলাচলও বন্ধ ছিল। বিকেল চারটার দিকে ঘাট ঠিক করা হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে বৃষ্টি ও বাতাস অব্যহত থাকায় পদ্মা পার হতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে ফেরিগুলোর।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।