ই’তেকাফকারীকে সহযোগিতা করলেও মিলবে ছাওয়াব


প্রকাশিত: ০৫:১৯ এএম, ০৯ জুলাই ২০১৫

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণে ২০ রমজান সূর্যাস্তের  পূর্বেই ই’তেকাফকারীগণ মসজিদে অবস্থান নিয়েছেন। এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছে আরেকটি সমাজের অগণিত মানুষকে অপরাধ থেকে মুক্ত করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কারণ মসজিদ আছে অথচ ই’তেকাফকারী নাই; তাহলে ঐ মসজিদের আওতায় যারা বসবাস করে তারা গুনাহগার হবে। সুতরাং যারা মসজিদে ই’তেকাফে বসেছেন, তারাই হচ্ছে আমাদের জন্য রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের আরেক উছিলা। আল্লাহ ই’তেকাফকারীদের প্রতি রহম করুন, ই’তেকাফের আমলে বরকত দান করুন। সুস্থ্য রাখুন ই’তেকাফকারীদেরকে। এ অবস্থায় আমাদের করণীয় কি? আমরা কিভাবে ই’তেকাফ না করেওই’তেকাফকারীদের ছাওয়াবের ভাগীদার হতে পারি। ই’তেকাফকারীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন, আল্লাহ তাআলা এতেই আপনাকে ই’তেকাফকারীর ছাওয়াবের ভাগীদার করবেন। ইনশাআল্লাহ।

১. ই’তেকাফকারী সদা সর্বদা নামাজের জন্য অপেক্ষায় থাকে; ইক্বামত দেয়ার সাথে সাথে ই’তেকাফকারীকে জামায়াতে দাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া; পাশাপাশি নিজেরাও নামাজের অপেক্ষায় সময় অতিবাহিত করা;
হাদিসে এসেছে-

নিশ্চয় ফেরেশতারা তোমাদের ঐ ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে থাকেন যতক্ষণ না সে কথা না বলে, নামাজের স্থানে অবস্থান করে। তারা বলতে থাকে আল্লাহ তাকে মাফ করে দিন, আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন, যতক্ষণ তোমাদের কেউ নামাজের স্থানে থাকবে, ও নামাজ তাকে আটকিয়ে রাখবে, তার পরিবারের নিকট যেতে নামাজ ছাড়া আর কিছু বিরত রাখবে না, ফেরেশতারা তার জন্য এভাবে দোয়া করতে থাকবে।

২. ই’তেকাফকারী লাইলাতুল ক্বদর তালাশে থাকবে, তখন ই’তেকাফকারীকে ইবাদত-বন্দেগীতে আত্মমগ্ন থাকতে কোনোরুপ সোরগোল করে বিরক্ত না করে যতক্ষণ মসজিদে অবস্থান করা হয়, ততক্ষণ ই’তেকাফকারীর মতোই ইবাদত করা; ই’তেকাফকারীকে প্রয়োজনে সহযোগিতা করা।
৩. সাহরি ও ইফতারের সময়ই’তেকাফকারী জন্য খাবার নিয়ে আসা, খাবার শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোতেও সহযোগিতা করা।
৪. ই’তেকাফকারী সাথে আল্লাহ তাআলার সুদৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়; সুতরাং আমরা ই’তেকাফকারীসহ সমাজের সবার সাথে ভাল আচরণ করব।
৫. ই’তেকাফকারী প্রয়োজনীয় নিজিসপত্র যথাসময়ে সরবরাহ করা।
৬. ই’তেকাফকারী যদি সহিহ কুরআন তেলাওয়াত না জানে তাকে মসজিদে সময় দিয়ে কুরআন সহিহ করার সহযোগিতা করা।
৭. ই’তেকাফকারী সহিহ নামাজ ও ধর্মীয় মাসায়েল না জানলে এগুলো শিক্ষা করার সুযোগ করে দেয়া।
৮. ই’তেকাফকারী সাথে আপনার প্রয়োজনীয় কোনো কাজ থাকলে যতদ্রুত সম্ভব তা সেরে নেয়; যাতে ই’তেকাফকারী ইবাদতে কোনো ত্রুটি না হয়;
৯. অযু, গোসল, হাজতসহ যাবতীয় কাজে আগে ই’তেকাফকারীকে সুযোগ দিয়ে পরিপূর্ণ ই’তেকাফের হক আদায় করার ব্যবস্থা করে দেয়া।
১০. ই’তেকাফকারী অসুস্থ্য হলে ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সেবা দেয়া।
১১. ই’তেকাফকারীকে ধর্মীয় বই-পুস্তক দিয়ে সহযোগিতা করা।

সর্বোপরি ই’তেকাফকারী আল্লাহর মেহমান, আল্লাহর মেহমান হিসেবে প্র্যত্যেক ই’তেকাফকারীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করাও অনেক অনেক ছাওয়াবের কাজ।

আল্লাহ আমাদেরকে ই’তেকাফকারী নিয়মিত খোজ-খবর নেয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে ই’তেকাফের ছাওয়াবের ভাগীদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। পাশাপামি আমাদেরকেও ই’তিকাফের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার মানসিকতা দান করুন। আমীন।

জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদীস মোতাবেক আমলী জিন্দেগী যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।