হামাস নেতাকে রুহানির ফোন, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এসময় দু'নেতা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান উত্তেজনা এবং প্রাসঙ্গিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো এবং অন্য মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে নিশ্চিতভাবে মার্কিন ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।

গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া প্রচণ্ড উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট রুহানি ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মধ্যে সোমবার এ ফোনালাপ হয়।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অপমানজনক পদক্ষেপ নিয়েছেন তা অত্যন্ত বিদ্বেষপূর্ণ এবং এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন ও মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তারা আদৌ সরকারিভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার স্বীকার করে না। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোকে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার জঘন্য ষড়যন্ত্রের কঠোর জবাব দেয়ার আহ্বান জানান।

ফোনালাপে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার মাধ্যমে মুসলমানদের অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের জনগণ কখনো ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও আমেরিকাকে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেবে না। কারণ বায়তুল মুকাদ্দাস ফিলিস্তিন ও মুসলমানদের।

ফোনালাপে হামাস প্রধান আরো বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে নতুন ইন্তিফাদা বা গণজাগরণ শুরু হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিরা জোরালোভাবে তা অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা ইসরায়েল ও আমেরিকার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন ইসমাইল হানিয়া। পার্সট্যুডে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।