এবার সেই ওসির বিরুদ্ধে মামলা করলেন বিচারক


প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০৮ জুলাই ২০১৫

রাজশাহীর পবা থানার বিতর্কিত সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এবার মামলা দায়ের করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট।

বুধবার দুপুরে রাজশাহীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের (নম্বর-৫) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ এই মামলাটি দায়ের করেন।  ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৯০ (১) ক্ষমতাবলে মামলাটি করেন তিনি।

ওই মামলার আদেশ প্রাপ্তির পর এক ঘণ্টার মধ্যে গত ০৩/০৭/২০১৫ ও ০৪/০৭/২০১৫ তারিখে থানায় ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সাধারণ ডায়েরির অনুলিপি ও সাধারণ ডায়েরির রেজিস্ট্রারসহ স্বয়ং ওসি আলমগীর অথবা তার মনোনীত উপপরিদর্শক পদমর্যদার নিম্নে নয় এমন একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তা আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  দাখিল শেষে এক ঘণ্টার মধ্যে আবার তা সংশ্লিষ্ট থানা বরাবার ফেরত পাঠাতে হবে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলার বাদী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সানাউল্ল্যাহ মামলায় উল্লেখ করেন, বুধবার সকাল ৯টায় তিনি স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার সূত্র ধরে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যসহ আদালতের বিচারিক কার্য ধারার জন্য অবমাননাকর বক্তব্য উল্লেখে পবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন পবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

এর প্রেক্ষিত বিবেচনায় আদালত মনে করেন যে, ওসি আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের দায় থেকে মুক্তি লাভের জন্য এবং তার কৃত আইন বিধি পরিপন্থী কাজের প্রেক্ষিতে তার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কছে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সম্পূর্ণরূপে অসৎ উদ্দেশ্য সূত্রে বর্ণিত মতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের (আদালতের বিচারক) ও বিচারিক বৈধ কার্যধারার বিরুদ্ধে মনগড়া, ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, মিথ্যা, এখতিয়ার ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং বেআইনিভাবে অবমাননাকর ও মিথ্যা বক্তব্য উল্লেখে সাধারণ ডায়েরি করে থাকলে তা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

উপরোক্ত আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের আলোকে উক্ত সাধারণ ডায়েরিতে ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের বিচারিক বৈধ কার্যধারা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে কীনা তা যাচাই করার নিমিত্তেও গত ০৩/০৭/২০১৫ ও ০৪/০৭/২০১৫ তারিখে থানায় দাখিলকৃত সাধারণ ডায়েরির অনুলিপিসহ ও সাধারণ ডায়েরির রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা আবশ্যক।

প্রসঙ্গত, আদালতে দায়েরকৃত একটি বিচারিক মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পবা থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড না করার জন্য গত ৩ জুলাই ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহ ওসি আলমগীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। সেইসঙ্গে অনুলিপি দেন ডিআইজি, এসপি ও এসপি সার্কেলকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই রাজশাহীর পবা থানার ওসি আলমগীর ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্ল্যাহর বিরুদ্ধে পবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং-১১৯ তাং-৩/৭/২০১৫।

শাহরিয়ার অনতু/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।