ই-হজ ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে সৌদি সরকারের নির্দেশনা
আসন্ন হজ মৌসুমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ই-হজ ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে বাংলাদেশি হজ এজেন্সিগুলোর জন্য চার দফা নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি সরকার।
জারিকৃত নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে মক্কা ও মদিনার বাড়ি ভাড়া চুক্তি অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে হবে।
মিনা আরাফাতে খাবার সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির মোয়াল্লেমের মাধ্যমে ক্যাটারার নিয়োগ দিয়ে ই-হজ পদ্ধতিতে এন্ট্রি করতে হবে।
ঢাকার সৌদি দূতাবাস থেকে ভিসা পাওয়ার জন্য হজ যাত্রীর সংখ্যানুযায়ী ই-হজ পদ্ধতির মাধ্যমে ভিসা অনুরোধ পাঠাতে হবে।
ভিসার অনুরোধ অনুমোদন হওয়ার পর হজযাত্রীদের ফ্লাইটের কমপক্ষে একমাস আগে ই-হজ পদ্ধতিতে হজযাত্রীদের প্যাকেজভিত্তিক পাসপোর্ট নম্বরসহ নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট এজেন্সীর ইউনার নেইম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সিষ্টেমে এন্ট্রি দিতে হবে।
বাংলাদেশ হজ অফিস জেদ্দার হজ কাউন্সিলর মো.আসাদুজ্জামান ২ জুলাই ধর্মসচিবকে দেয়া এক চিঠিতে সৌদি সরকারের এ নির্দেশনা জানিয়ে তা যথাযথভাবে পালনের অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত বারকোড পদ্ধতিতে হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও চলতি বছর শতভাগ ভিসা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ইস্যু করা হবে।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ১০ হাজার ও বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালন করতে জেদ্দা ও মদিনা কোন বিমানবন্দর দিয়ে কত বাংলাদেশি হজযাত্রী আসবে জানতে চেয়েছে সৌদি সরকার।
তারা জানিয়েছে এ বছর জেদ্দা বা মদিনা বিমানবন্দর থেকে হজ যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য কোন প্রকার বাসের টিকেট ইস্যু করা হবে না। টিকেটের পরিবর্তে পৃথক বারকোড/ষ্টিকার ইস্যু করা হবে।
হজ এজেন্সিগুলোকে বারকোড/ষ্টিকার মেশিন দিয়ে প্রত্যেক যাত্রীর নামে ইস্যুকৃত বারকোড/ষ্টিকার নম্বর ইলেকট্রনিক হজ পদ্ধতিতে এন্ট্রি দিতে হবে। হজ যাত্রীদের ফ্লাইটের আগেই পাসপোর্টে বারকোড/ষ্টিকার সংযোজন করে নম্বরটি সিষ্টেমে এন্ট্রি ছাড়া কোন হজযাত্রী জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে আসতে পারবেন না।
ইতিপূর্বে ২ জুলাই আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নিবন্ধনকৃত হজ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়ি/হোটেল ভাড়া ও খাওয়া খরচসহ অন্যান্য ফির টাকা হজ এজেন্সির নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক স্বাক্ষরিত ও হজ এজেন্সীস অব বাংলাদেশ (হাব) প্রতিস্বাক্ষরিত ষ্টেটম্যান শিগগিরই হজ অফিস, ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।
এমইউ/এআরএস/পিআর