ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বাতিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বুধবার এই রায় দেন উচ্চ আদালত।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, গত ১৬ মার্চ এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বাতিলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মত দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরীক্ষা কমিটির সম্পাদক, সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক-২), ইউজিসি চেয়ারম্যান ও শিক্ষা সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাবিতে এইচএসসি উত্তীর্ণরা এতোদিন টানা দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেও গতবছর তা সীমিত করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গত ১৪ অক্টোবর ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু চলতি বছরে এইচএসসিতে উত্তীর্ণরাই অংশ নিতে পারবে। অর্থাৎ আগের বছরে (২০১৪) উত্তীর্ণরা নয়। সে হিসেবে চলতি বছরের (২০১৫) ভর্তি পরীক্ষা থেকেই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।
ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সে সময় টানা কয়েক দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করেন। পরে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ১২ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু ২৬ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
এফএইচ/এআরএস