অজানা অসুখে মার্কিন কর্মীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭

টানা ৫৪ বছরের বরফ গলিয়ে ফিদেল কাস্ত্রোর দেশে ফের দূতাবাস খুলেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সেই দূতাবাসের কর্মীদের কাছেই এখন আতঙ্কের নাম কিউবা। এক অজানা রোগ চেপে ধরেছে মার্কিন কূটনৈতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের।

কে, কেন আর কিভাবে মার্কিন কর্মকর্তাদের আক্রমণ করে চলেছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে বুঝে উঠতে পারেনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তবে সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে, দূতাবাস কর্মীদের মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতার লক্ষণ মিলেছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বছর খানেক আগে। বেশ কয়েকজন দূতাবাস কর্মী অভিযোগ করেন, প্রথমে নিজেদের ঘরের একটি বিশিষ্ট জায়গায় অদ্ভুত কোনও শব্দ শুনতে পান তারা। শব্দের উৎস থেকে কয়েক ফুট দূরে গেলেই সেই শব্দ উধাও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই শব্দ শোনার পর থেকেই মাথা ঘোরা, বমি ভাব থেকে শুরু করে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তাদের।

শুধু বাড়িতেই নয়, হোটেলের ঘরেও একই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকের। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন, আক্রান্ত দূতাবাস কর্মীদের মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গেছে। তাদের মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটারেও পরিবর্তন ঘটেছে। এই ধরনের রোগ এর আগে কখনও দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছিলেন এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ ভাবে নিযুক্ত একদল বিজ্ঞানী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার কিছু দূতাবাস কর্মীরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে হাভানায়।

মার্কিন গোয়েন্দারা প্রথমে জানান, কোনও শব্দাস্ত্র ( সোনিক ওয়েপন) ব্যবহার করে ওই আক্রমণ করা হয়েছে। পরে অবশ্য সেই তত্ত্ব থেকে সরে আসেন তারা। স্ত্রীসহ মোট ২৪ জন মার্কিন দূতাবাস কর্মী এই অজানা রোগে আক্রন্ত হয়েছিলেন।

তবে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পরে বেশির ভাগ কর্মীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু পুরো ঘটনায় কিউবা সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে হাভানার মাটিতে। তাই সেখানকার সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা বলছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে রাউল কাস্ত্রোর প্রশাসনও।

টিটিএন/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।