ঈদের কেনাকাটায় জমজমাট নিউ মার্কেট


প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৫

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তাই কেনাকাটার ধুম পড়েছে পুরোদমে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কেনাকাটা আর ক্রেতাদের উপস্থিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মার্কেট হিসেবে পরিচিত নিউ মার্কেট। সরেজমিন ঘুরে এ রকম চিত্রই দেখা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মার্কেকটিতে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদকে উপেক্ষা করে সাধ ও সাধ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটার জন্যই মার্কেটে এসেছেন ক্রেতারা। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কানের দুল, চুড়ি, গলার মালা, টিপ, ব্যাগ, জুতোসহ ঘর সাজানোর অন্যান্য জিনিস কিনছেন ক্রেতারা।

এছাড়া ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, বেল্ট, মানিব্যাগ ইত্যাদি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় বলে ছাত্র-তরুণ-যুবকসহ অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন নিউ মার্কেটে।

দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে মধ্যে মাঝে মাঝে সঙ্গের মানুষটিকেও হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। কেউ আবার পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য দোকানের সামনে দাঁড়াতেই পারছেন না। তবুও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়ও।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তমাল আবদুল কাইউম জানান, বান্ধবীর জন্য একটি থ্রি পিস কিনতে তিনি নিউ মার্কেটে এসেছেন। সাধ্যের মধ্যে নিউমার্কেটে ভালো থ্রি পাওয়া যায়। তিনি নিউমার্কেটে এসেছেন।

তবে নিউমার্কেটের ভেতরের কিছু কিছু দোকানির কাছে শোনা গেলা হতাশার সুর। নিউ মার্কেটের দোতলায় মোশারফ নামে একজন দোকানিকে কেমন চলছে বেচাকেনা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানালেন, অনেকে উপরে উঠতে চায় না তাই বিক্রি কিছুটা কম। তবে সামনে বিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে নিউ মার্কেটের আশেপাশে অনেকেই ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছেন। তারা মেয়েদের বিভিন্ন সাজানি ও ঘরের ছোটখাট আসবাবপত্র বিক্রি করছেন। তবে নিউ মার্কেটের ভেতরের চেয়ে বাইরের ভিড়টাই যেন চোখে পড়ার মতো।

নিউ মার্কেট ছাড়া গাউছিয়া, চাঁদনী চক, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট মধ্যবিত্ত মানুষের কেনাকাটার জন্য অন্যতম জায়গা। এসব মার্কেটগুলোও ঈদ উপলক্ষে ব্যাপকভাবে জমে উঠেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হরদম বিক্রি হচ্ছে এসব মার্কেটগুলোতে।

এমএম/বিএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।