বিদ্রোহীদের হাতে যেভাবে প্রাণ গেল ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট সালেহর
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর গাড়িতে বোমা ও বন্দুক হামলার দৃশ্য প্রকাশ করেছে হুথি বিদ্রোহীরা। এতে কীভাবে সালেহর গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় তা তুলে ধরেছে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
এর আগে স্থানীয সময় সোমবার সকালের দিকে রাজধানী সানায় সালেহর গাড়িবহরে গাড়ি ও বোমা হামলা চালায় হুথিরা।
সৌদি আরবের দৈনিক আল-আরাবিয়া বলছে, উপজাতিদের মধ্যস্থতায় রাজধানী সানার বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণের সিনহান জেলায় গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছিলেন সালেহ। এজন্য হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের একটি সমঝোতা হয়েছিল। বিদ্রোহীরা সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে নিরাপদে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। তার গাড়িবহরে কোনো হামলা চালানো হবে না বলেও জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আল-আরাবিয়া বলছে, সালেহ তার ছেলে ও রাজনৈতিক দল জেনারেল পিপলস কংগ্রেস পার্টির জ্যেষ্ঠ দুই সদস্যকে নিয়ে একটি গাড়িতে করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
সিনহান জেলার বৈয়ত আল-আহমার গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের সায়ান এলাকায় সালেহর গাড়ি পৌঁছায়। পরে ওই এলাকার সড়কে হুথি বিদ্রোহীদের সাতটি গাড়ি সড়ক অবরোধ করে তাদের আটক করে।
আল-আরাবিয়া বলছে, হুথি বিদ্রোহীদের সাতটি গাড়ি সড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে রাখায় সালেহকে বহনকারী গাড়িটি পালিয়ে যেতে পারেনি।
পরে হুথি বিদ্রোহীরা সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের গাড়ি থেকে বের করে আনে। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সালেহর পেট ও মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, কমপক্ষে ৩৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
সোমবার হুথি বিদ্রোহীদের হামলার কয়েক ঘন্টা আগেও সানার পাশের সিক্সটি ডিস্ট্রিক্টে দলের সদস্য ও তার আস্থাভাজনদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আলি আব্দুল্লাহ সালেহ। তার সানার বাসভবনেও হুথি বিদ্রোহীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
Official Houthi TV station broadcasts footage of #Saleh |'s dead body pic.twitter.com/Wazie30nSO
— Al Arabiya English (@AlArabiya_Eng) December 4, 2017
এসআইএস/আরআইপি