বিরল সফরে উ. কোরিয়ায় যাচ্ছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা
গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক প্রধান জেফরি ফেল্টম্যান মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে ‘নীতি-নির্ধারণী’ আলোচনার জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানায় দেশটি। তবে তখন আমন্ত্রণ জানালেও সফরসূচি নিশ্চিত করা হয় ৩০ নভেম্বর। গত সপ্তাহে এ যাবত কালের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম। এ প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে বিরল সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা। সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ফেল্টম্যান শুক্রবার পর্যন্ত পিয়ংইয়ং থাকবেন।
এর আগে সোমবার থেকে উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। পাঁচদিন ব্যাপি ওই মহড়াকে উত্তরে কোরিয়া উসকানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সফরে ফেল্টম্যান উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে, দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে না।
সিউলে বিবিসি সংবাদদাতা পল অ্যাডামস জানিয়েছেন, অর্থবহ কোনো কূটনৈতিক চ্যানেল অবশিষ্ট না থাকায়, এখন কোরিয়া সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার যেকোনো সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জাতিসংঘ। এর আগে সর্বশেষ ২০১১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ভ্যালেরি অ্যামোস উত্তর কোরিয়া সফর করেন।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এছাড়া ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানসহ প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্র। বিবিসি বাংলা।
এসআইএস/পিআর