নারীদের ই’তিকাফ


প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

ই’তিকাফ বছরের সব সময় হতে পারে; তাতে কোনো বিধি নিষেধ নাই। কিন্তু রমজানের শেষ দশদিন ই’তিকাফ করার নির্দেশ এসেছে। আর এ দশদিনের ই’তিকাফই হচ্ছে মাসনুন ই’তিকাফ। এই ই’তিকাফে পুরুষ ও নারী সবাই অংশ গ্রহণ করতে পারে। পুরুষরা শরয়ী মসজিদে অবস্থান করবে। আর নারীদের মসজিদে ই’তিকাফের ব্যবস্থা না থাকলে তারা আপন বাসগৃহে নির্ধারিত স্থানে ই’তিকাফ করবে। নিম্নে নারীদের ই’তিকাফ নিয়ে কিছু কথা-

১. নারীদের জন্য মসজিদে ই’তিকাফের ব্যবস্থা না থাকলে নিজ নিজ ঘরে নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে ই’তিকাফ করবে। যদি নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থান না থাকে তবে বাসগৃহের নির্ধারিত একটি অংশকে ই’তিকাফের জন্য নির্ধারণ করে ই’তিকাফ করবে।

২. যে সকল নারীর স্বামী বৃদ্ধ, অসুস্থ বা ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে এবং তাদের সেবা-শুশ্রুষা করার কেউ নাই; সে নারীর জন্য ই’তিকাফের চেয়ে তাদের খেদমত ও সেবা যত্ন করা উত্তম।

৩. মাসিক (ঋতুস্রাব) অবস্থায় ই’তিকাফ করা সহিহ নয়। কারণ এ অবস্থায় আল্লাহ নারীদেরকে রোজা থেকেই বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর মাসনুন ই’তিকাফের জন্য রোজা জরুরি। ঋতুস্রাব অবস্থায় রোজার রাখা যায় না।

৪. নারীদের উচিত তাদের নির্দিষ্ট দিনগুলো (ঋতুস্রাব) শুরু-শেষের দিকে লক্ষ্য রেখে ই’তিকাফ করা।

৫. নারীরা ঘরের মধ্যে ই’তিকাফের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ত্যাগ করে ঘরের অন্য অংশে যাবে না। গেলে ই’তিকাফ ভেঙে যাবে।

৬. নারী যদি বিবাহিত হয় তবে সে ক্ষেত্রে তাকে স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে ই’তিকাফ করতে হবে। স্বামীর অনুমতির বাইরে ই’তিকাফ করলে ই’তিকাফ সহিহ হবে না।

সুতরাং আমরা ই’তিকাফ শুরু করার পূর্বেই এ বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখবো এবং যথাযথ নিয়মে ই’তিকাফ করব। আল্লাহ আমাদের যথাযথ নিয়মে ই’তিকাফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তথ্যসূত্র : ফতোয়ায়ে আলমগিরি।

জাগো নিউজের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।