ফেসবুক প্রেমিকাকে হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার পর ফোনালাপে অনেকের সঙ্গেই অনেকের প্রেম-পরকিয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও ইদানীং অনেকের সম্পর্ক গড়ে উঠছে।
তবে বাস্তবের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আচরণের তারতম্যে সম্পর্কগুলোতে বিশ্বাস, ভালবাসা, মুল্যবোধের ঘাটতি থাকছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
এই তো গত মঙ্গলবারের ঘটনা। ভারতের দমদমের শেঠবাগানের রাজিব রায় ঝিলিক রায় নামে এক ফেসবুক ফ্রেন্ডকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে মেয়েটি জানায়, তার বিয়ে হয়ে গেছে। এর পর আত্মহত্যা করে রাজিব।
অবশ্য প্রথমে ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেম হয় তাদের। সেটাও মাস তিনেক আগের ঘটনা। বিয়ের প্রস্তাব দিলে মেয়ে তাতে আপত্তি জানায়। মেয়ের এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে না পারায় ছেলে আত্মহত্যা করে।
রাজিবকে ঝিলিক পরিষ্কারভাবে জানায়, অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার। অথচ এই তিনমাসে নাকি রাজিবের কাছ থেকে প্রায়শই টাকা নিত ঝিলিক।
প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য ঝিলিককে টাকাও দিত রাজিব। কিন্তু মঙ্গলবার রাজিব ফোন করলে ঝিলিক জানায়, তার বিয়ে হয়ে গেছে এবং সে স্বামীর সঙ্গে একঘরে শুয়ে আছে। তাকে যেন আর রাজিব ফোন করে বিরক্ত না করে।
ঝিলিকের কথায় ভেঙে পড়ে রাজিব। কান্নাকাটিও করতে থাকে। রাতে ঘরে শুয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বুধবার সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও তার সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ফেলে।
ঘরে ঢুকে তারা রাজিবের মরদেহ দেখতে পান। বিছানার চাদর দিয়ে ফাঁস তৈরি করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে রাজিব। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগের পর পুলিশ ঝিলিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
কেএ/আইআই