রাজশাহী কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা : ২ কারারক্ষী বরখাস্ত
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে জনি (২১) নামের এক হাজতি গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ। রোববার ভোর ৫টার দিকে কারাগারের ভেতরে আত্মহত্যা করেন ওই হাজতি। পরে তাকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জনি মহানগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকার মুক্তার ভুট্টুর ছেলে।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, নিহত জনিকে রাজপাড়া থানার এক কনস্টেবল তার বাসার স্বর্ণের চেইন চুরির ঘটনায় তাকে বাসা থেকে আটক করেন। পরে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশি হেফাজতে বেধরক মারপিট করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে দ্রুত চুরি মামলায় আটক দেখিয়ে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানোর পর সে মারা যায়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, জনি মহানন্দা ওয়ার্ডের ৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন। ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে একটি জাম্বুরার গাছের ডালের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কারাগারের প্রধান দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে জানান, গত ২৭ জুুন রাজপাড়া থানায় দায়েরকৃত একটি চুরি মামলার আসামি ছিলেন জনি। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গতকাল শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে থানা হেফাজতে কোনো ধরনের মারপিট করা হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমআরআই