বিকল্প পথে ইয়াবা আনতে সময় নিয়েছিল ৭ দিন


প্রকাশিত: ০৬:৫৪ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

কক্সবাজার থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ইয়াবার বড় একটি চালান পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল মাদক ব্যবসায়ীদের। এজন্য গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েক দফায় ট্রাকে ইয়াবা লোড করা হয়। আর ইয়াবা ট্রাকে লোড করার জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডিজেল স্টেশনকে (তেলের পাম্প)।

শনিবার রাতে সাভার হয়ে রাজশাহী প্রবেশের পথে সাভারের বিপিএটিসি এক নং গেইটের সামনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সদস্যরা চালকসহ ইয়াবা বহনকারী  ট্রাকটি আটকের পর এ তথ্য জানতে পারে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক(সিও) লুৎফুল কবির।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের কক্সবাজার থেকে রাজশাহীতে পাচারের উদ্দেশ্যে ইয়াবার একটি বড় চালান যাওয়ার কথা জানা যায়। পরে র‌্যাব-৪ সদস্যরা সাভার ও এর আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে শনিবার রাত ১১টায় সাভারের বিপিএটিসি এক নং গেইটের সামনে র‌্যাব সদস্যরা তল্লাশী চালিয়ে ট্রাকটির ড্রাইভিং সিটের নিচে বাম পাশ থেকে সাদা প্লাস্টিকের চালের বস্তার ভেতর থেকে ৮৯১টি নীল রংয়ের পলি প্যাক থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। যার বাজার মূল্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এসময় ট্রাকটি(যশোর ট-১১-১০২৭) জব্দসহ চালক ঈসা খানকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৪ এর সিও জানান, কক্সবাজার থেকে অজ্ঞাত এক ব্যবসায়ী রাজশাহীর অপর এক ব্যবসায়ীর কাছে চালানটি পাঠানোর উদ্দেশ্যে মোটা অঙ্কের টাকায় ঈসাকে ভাড়া করে।

ঈসা এর আগেও ইয়াবার চালান আনা নেয়ার কাজ করেছে দাবি করে সিও বলেন, ঈসা খুবই ধূর্ত ও ইয়াবা ব্যবসার সক্রিয় সদস্য। তিনি কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালানটি আনতে প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প সড়কে ট্রাক চালিয়ে আসেন। এমনকি রাস্তার নিরাপত্তা পরিস্থিতি চিন্তা করে তিনি এক সপ্তাহ ধরে একটি তেলের পাম্পে অপেক্ষা করার পর রওনা দেন।
এর সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়ো হচ্ছে। তাদেরকেও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

জেইউ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।