জিম্বাবুয়ের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ
শপথ নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় শপথ নেন তিনি। শপথের আগে তাকে গান স্যালুট দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হয়। স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। খবর বিবিসির।
নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ রাজধানী হারারের ন্যাশনাল স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ভিড় জমান। শপথের সময় এমনানগাগওয়ার স্ত্রী মাই তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এই দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন আয়োজকরা।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমারসন এমনানগাগওয়ার শপথের বিষয়টি গতকালই নিশ্চিত করা হয়েছিল। তার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে মুগাবের দীর্ঘ ৩৭ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটেছে। যদিও বাধ্য হয়েই ক্ষমতা ছেড়েছেন মুগাবে।
সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপন শেষে বুধবার দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দেন এবং সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান।
দেশে ফিরে রাজধানী হারেরেতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বলেছেন। নতুন গণতন্ত্রের বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের এই নতুন নেতা।
এমনানগাগওয়া বলেন, আমি আপনাদের সেবক হবার অঙ্গীকার করছি। আমি সকল দেশপ্রেমিক জিম্বাবুইয়ানদের একতাবদ্ধ হবার আহ্বান জানাই। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। এখানে কেউ কারো চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নন। আমাদের পরিচয় আমরা জিম্বাবুয়ের নাগরিক।
আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই কাজ, কাজ এবং কাজ।
দেশ থেকে বেকারত্ব অবসানের এই ঘোষণায় জানু-পিএফ পার্টির সদরদপ্তরের সামনে উল্লাসে ফেটে পরে সাধারণ জনতা। ধারণা করা হয় দেশটিতে প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষই কর্মহীন।
দু’সপ্তাহ আগে রবার্ট মুগাবে নানগাগওয়াকে চাকরীচ্যুত করার পরই অস্থিরতা শুরু হয় এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৭১ বছর বয়সী নতুন এই প্রেসিডেন্ট ২০১৮ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকছেন। এদিকে, দেশ থেকে দুর্নীতির সংস্কৃতি নির্মূল করতে এমনানগাগওয়াকে আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দল।
মঙ্গলবার ৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে পদত্যাগ করায় দেশজুড়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। অভিসংসিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
টিটিএন/আইআই