মানবসৃষ্ট কারণে বাড়ছে ভূমিকম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে এক থেকে দুই মিনিট স্থায়ী হয়। শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভূপৃষ্ঠের প্লেটের স্থানচ্যুতি, আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ, শিলাচ্যুতি কিংবা হিমবাহের মতো কারণে ভূমিকম্প সংগঠিত হয়। তবে প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও মানবসৃষ্ট কারণে বাড়ছে ভূমিকম্পের ঝুঁকি। সম্প্রতি সিসমোলোজিক্যাল রিসার্স লেটারস জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দেড়শ বছরের ইতিহাসে মানবসৃষ্ট নানা কারণে বেড়েছে ভূমিকম্পের ঘটনা।

বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে চীনের প্রলয়ংকারী ভূমিকম্পের মূল কারণ ছিল অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, চীনের সিচুয়ান প্রদেশের জিপিনঙপু পানির আধার থেকে ৩২০ মিলিয়ন টন ওজনের পানি তোলার কারণেই সেখানে ভূগর্ভস্থ প্লেটের ওপর প্রভাব পড়েছিল।

এছাড়াও পারমানবিক বিস্ফোরণের ফলেও অনেক জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে। এই ধরনের ২২টি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে পৃথিবীবাসী। সর্বশেষ উত্তর কোরিয়ায় পারমানবিক পরীক্ষার সময় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।

এমআরএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।