মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায় চীন
আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায় চীন। বেইজিং সফররত মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংকে এ কথা বলেছেন চীনের জ্যেষ্ঠ এক সেনা জেনারেল।
ক্রমবর্ধমান কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাস খাতসহ চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমারের সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সঙ্কটেও নেইপিদোর প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে চীন।
গত আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জেরে নৃশংস সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়েছে।
বুধবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে মন্তব্য করেছে। ‘ভয়াবহ নিপীড়নের’ সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বেইজিংয়ে চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের প্রধান লি জুওচেং মিয়ানমার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংকে বলেন, চীনের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি মিয়ানমারের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘জটিল এবং পরিবর্তনশীল আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির মুখে দুই দেশের সেনাবাহিনীর কৌশলগত যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী চীন।’
লি বলেন, চীন দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক পরিসরে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চায়। একই সঙ্গে গভীর প্রশিক্ষণ ও প্রাযুক্তিক বিভিন্ন বিষয়ের আদান-প্রদান এবং উভয় দেশের সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায় চীন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্তে মিয়ানমারের সায়ত্ত্বশাসন চাওয়া জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে চীন বিরক্ত। সীমান্তের এই অস্থিতিশীলতায় হাজার হাজার মানুষ চীনে ঢুকে পড়ছে। সামরিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও চীনের ওই বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের ব্যাপারে কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি চীনা সেনাবাহিনী।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর