ঝালকাঠিতে ৪ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
ভাণ্ডারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বাদল সরদার (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালতের বিচারক এসএম সোলায়মান এ রায় দেন।
ঝালকাঠি আদালতের পিপি আব্দুল মান্নান রসূল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের শহিদ সিকদার, নিজাম সিকদার (পলাতক), দুলাল সিকদার ও বাদল সিকদার এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেরন, হারুন সিকদার, সালাম সিকদার ও মনু সিকদার।
এই তিন জনের প্রত্যেককে আদালত ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
অপরদিকে ৩০২/৩৪ ধারায় আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ফিরোজ সিকদার, জলিল সিকদার, কামাল সিকদার, মিন্টু সিকদার, গোপাল সিকদার ও সেলী সিকদারকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জালাল সরদারের ছেলে কলেজছাত্র বাদল সরদারকে ১৯৯৮ সনের ১ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাদলের বাবা জালাল সরদার বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় হত্যা মামলা (৩৭১/৯৮) দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘসূত্রিতা হওয়ায় বাদী পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। উচ্চ আদালত রিটের শুনানি শেষে মামলাটি ঝালকাঠিতে হস্তান্তর করেন। ১৭ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এ রায় প্রদান করেন আদালত। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট এমআলম খান কামাল এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ সিকদার।
এমএএস/এমআরআই