সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৭

সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগে ইরানের ওপর নতুন করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর। সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াদে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা নিয়ে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে বাগবিতণ্ডা বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। খবর আল জাজিরা।

সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইরান ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে কার্যত সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন টেলিভিশন সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আদেল আল জুবেইর বলেন, ইরানই একমাত্র দেশ যারা সন্ত্রাসকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং লেবাননের শিয়া গ্রুপ হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থনের কারণে ইরানের সমালোচনা করেছেন।

জুবেইর বলেন, আমরা চাই সন্ত্রাসে সহায়তা এবং জাতিসংঘের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নীতি অমান্যর জন্য ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক।

সরাসরি ইরানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জুবেইর বলেন, আমরা তেমনটা আশা করছি না।

সম্প্রতি লেবাননের প্রেসিডেন্ট সাদ হারিরির পদত্যাগের পর থেকে সৌদির ওপর অভিযোগ উঠেছে যে হারিরিকে বন্দী করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছে রিয়াদ। কারণ রিয়াদে বসেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী।

শুধু তাই নয় হারিরির এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে হিজবুল্লাহ সংগঠন এবং ইরানকে চাপ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে বলেও সৌদির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সরাসরি হিজবুল্লাহর ওপর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জুবেই বলেন, এই সংগঠনকে কিভাবে দমন করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প খুঁজছে সৌদি। তিনি সিএনবিসিকে বলেন, আমরা লেবাননকে এমন একটি প্লাটফর্মে তৈরি হতে দেব না যা সৌদি আরবের জন্য ক্ষতিকর হয়।

হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে লেবাননের লোকজনকে সৌদি সহায়তা করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।