পাবনায় পদ্মার ভাঙনের কবলে ৩ ইউনিয়ন


প্রকাশিত: ০৮:০৩ এএম, ২৯ জুন ২০১৫

বর্ষার শুরুতেই পাবনায় পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মা তীরবর্তী সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট ও নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের শতশত ঘরবাড়ি, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

কয়েক বছর আগে পদ্মার ভাঙনে সুজানগরের মানচিত্র থেকে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ওই ৩ ইউনিয়নের হরিরামপুর, সিংহনগর, বিলমাদিয়া, মাহমুদপুর, রামকন্তপুর, কেশবপুর, শামিলপুর, ফকিতপুর, সিন্দুরপুর, কন্দর্পপুর, ইন্দ্রজিতপুর, কাদিরপুর ও চররাজপুর গ্রামসহ হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও মূল্যবান গাছপালা। পাশাপাশি ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় হারিয়ে গেছে মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, রাইপুর বাজার ও রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

ভাঙনে সর্বস্ব হারানো ওই সকল গ্রামের শত শত পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

স্থানীয় সাংবাদিক তৌফিক হাসান জাগো নিউজকে জানান, গত বছর ভাঙনের মাত্রা কম হলেও এ বছর বর্ষার শুরুতেই ইউনিয়ন ৩টিতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ওই ৩টি ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, শ্যামনগর, ভাটপাড়া, গুপিনপুর, মালিফা, মালফিয়া, গোয়ারিয়া, কামারহাট, মহনপুর, মহব্বতপুর, নাজিরগঞ্জ, হাসামপুর এবং বরকাপুর গ্রামে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

প্রচণ্ড ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, নাজিরগঞ্জ বাজার, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, নাজিরগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোয়ারিয়া বাজার, গুপিনপুর কবরস্থান এবং নারুহাটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

গুপিনপুর গ্রামের বিধবা লাইলী খাতুন জাগো নিউজকে জানান, সর্বনাশা পদ্মার ভাঙনে তার বাড়িঘর ইতোপূর্বে চার দফা ভেঙেছে। সামান্য একটু জমি কিনে তিনি গুপিনপুর গ্রামে ঘর-বাড়ি তুলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করছিলেন। কিন্তু সে বাড়িঘরও এবার ভাঙনের মুখে পড়েছে।

ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে ওই গ্রামের বাড়িঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভুক্তভোগী এলাকার লোকজন ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

একে জামান/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।