ঝিনাইদহে বিল দখল করে মাছ চাষ


প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ২৮ জুন ২০১৫

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হামদহডাঙ্গা বিল দখল করে মাছ চাষ করছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আর এতে সমস্যায় পড়েছেন বিল পাড়ের ৩ গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, হামদহডাঙ্গা, কল্যাণপুর ও পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের মাঝে অবস্থিত প্রায় ৪শ একর জমির উপর অবস্থিত হামদহডাঙ্গা বিল। ওই বিলে রয়েছে ৩ গ্রামের কৃষকের জমি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সেই জমি দখল করে মাছ চাষ করছে পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের একোব্বার মোল্যার ছেলে সিদ্দিক মোল্য, লোকমান হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন, নুর মোহাম্মদের ছেলে মোজাম্মেল হক, আবু মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া, সাত্তার মণ্ডলের ছেলে আলতাফ হোসেন।

এর ফলে বিলের পাশের আবাদকৃত জমি তলিয়ে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকায় চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষককরা। এছাড়া ব্রিজের মুখে চরাট দিয়ে বাঁধ দিয়েছেন তারা।

হামদহডাঙ্গা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন মণ্ডল জাগো নিউজকে জানান, হামদহডাঙ্গা বিলে তার ১০ বিঘা জমি রয়েছে কিন্তু প্রভাবশালীরা তার জমিতে চাষ করতে দিচ্ছেন না।

পূর্বকৃষ্ণপুর গ্রামের মেম্বর তাইজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, সন্ত্রাসী প্রকৃতির ওই লোকগুলোর কারণে তাদের এলাকার অনেক মানুষ আজ বাড়ি ছাড়া। এখন বিল দখল করে মাছ চাষ করছেন। কৃষকরা জমিতে চাষ করতে গেলে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

একই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের আজাহার মণ্ডল। তিনি বলেন, কতিপয় ওই ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বিল দখল করে মাছ চাষ করছেন। তাদের কারণে কৃষক জমিতে চাষ করতে পারছেন না। কৃষকরা যদি জমি চাষ করতে যায় তাহলে তারা তাদের হুমকি দিচ্ছেন। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছেন না। নিজেদের জমি চাষ করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।



কল্যাণপুর গ্রামের কৃষক মমিন জোয়ার্দ্দার, তসির বিশ্বাস জানান, হামদহডাঙ্গা বিলে যে জমি রয়েছে তা দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে সংসার চালিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু কিছুদিন হলো বিলের মাঝখান দিয়ে ক্যানেল তৈরি করে বিলে মাছ চাষ করছেন সিদ্দিক মোল্যা, আশরাফ হোসেন, মোজাম্মেল হক, শামীম মিয়া, ও আলতাফ হোসেন। জমিতে চাষ করতে গেলে তারা কৃষকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। নিজের জমিতে পাট জাগ দিতে গেলে তারা বাঁধা দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আশরাফ হোসেন জাগো নিউজকে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমার নিজের জমিতে আমি মাছ চাষ করছি। সে কারণে বাঁধ দিয়েছি। কোনো কৃষককে চাষাবাদ করতে বাঁধা দেওয়া হয়নি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি আমাকে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন। আমি ঢাকাতে ট্রেনিংয়ে থাকায় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।