যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ এএম, ০২ নভেম্বর ২০১৭

যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফ্যালন পদত্যাগ করেছেন। ১৫ বছর আগে দেশটির এক নারী সাংবাদিককে হয়রানি করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দেয়ার পর ব্রিটিশ এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি এমন এক সময়ে পদত্যাগ করলেন, যখন ব্রিটেনের বেশ কিছু সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ফ্যালন বলেন, তার আচরণ যে মানের হওয়ার কথা, সেটি হয়তো সে মানের ছিল না।

মঙ্গলবার তিনি স্বীকার করে বলেন, ১৫ বছর আগে তিনি সাংবাদিক ও রেডিও উপস্থাপিকা জুলিয়া হার্টলি-ব্রুয়ারের হাঁটু অশোভনভাবে স্পর্শ করেছিলেন। সে আচরণের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।

বিবিসিকে ফ্যালন বলেন, ১৫ কিংবা ১০ বছর আগে যেটি গ্রহণযোগ্য ছিল, বর্তমানে সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিটেনের পার্লামেন্টে বেশ কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানীর অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর ফ্যালন হচ্ছেন প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি পদত্যাগ করলেন।

ফ্যালনের পদত্যাগের সঙ্গে নতুন কোনো অভিযোগের সম্পর্ক নেই বলে মনে করছে বিবিসি। তবে বিষয়টি নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনের সামরিক বাহিনী যে মানের আচরণ আশা করে তার আচরণ সে রকম ছিলনা।

ফ্যালন মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য হিসেবে তার ভূমিকাকে যে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন সেটির প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ‘অতীতে আমার কিছু আচরণসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন এমপি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের অনেকগুলোই মিথ্যা। কিন্তু আমি স্বীকার করছি যে অতীতে আমার আচরণ সর্বোচ্চ মানের তুলনায় ঘাটতি ছিল, এক বিবৃতিতে বলেন ফ্যালন।

বিবিসির অনুষ্ঠানে ফ্যালনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি ক্ষমা চাইবেন কিনা? উত্তরে ফ্যালকন বলেন, আমার মনে হয় আমরা এখন সবাই অতীতের দিকে ফিরে তাকিয়েছি। সেখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার জন্য আপনার অনুতাপ হতে পারে, যেটা ভিন্নভাবে করা যেত।

গত সাড়ে তিন বছর ধরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টিকে সম্মানজনক ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসি বাংলা।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।