ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত রায়না-জাদেজা- ব্র্যাভো!
বিতর্ক যেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের পিছুই ছাড়ছে না। একের পর এক নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন দলের খেলোয়াড়রা। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ই-মেইলে ললিত মোদি আইসিসি`র সিইও ডেভ রিচার্ডসনকে দুই ভারতীয় ক্রিকেটারসহ তিন জনের নামে আইপিএলের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- ভারতের সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়েন ব্র্যাভো।
ললিত মোদি ই-মেইল বার্তায় রিচার্ডসনকে জানান, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা ও ডোয়েন ব্র্যাভো রিয়াল এস্টেট টাইকুন এইচডিআইএল-এর বাবা দিওয়ানের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বাবা দিওয়ান বেশ বড় মাপের জুয়াড়ি এবং বুক মেকারও। আমি বাবাকে আইপিএলের কোনো টিমের জন্য বিড করতে দেইনি।
ললিত মোদি আইসিসির সিইওকে আরো লেখেন, নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি লোকটা রায়নাকে দিল্লির বসন্ত বিহার ও নয়ডায় ফ্ল্যাট এবং জাদেজাকে বান্দ্রায় সমুদ্রমুখী একটি ফ্ল্যাট দিয়েছে। ডোয়েন ব্র্যাভোকে মোটা অংকের নগদ উপহার দেওয়া হয়েছিল বলে ওই ই-মেইল বার্তায় দাবি করা হয়েছে।
প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য বাবা দিওয়ান প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করেন বলে ই-মেইলে দাবি করেন ললিত।
মেইলটির শেষাংশে ললিত বলেন, আশা করি এগুলো সত্যি নয়। তবে সত্যি হলে ধরতে হবে আরো অনেকে এতে জড়িত। বাবাকে কড়া নজরে রাখা দরকার। প্রতি ম্যাচে লোকটা নাকি ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার বেট করে।
ফাঁস হওয়া এই মেইলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায় শ্যাম স্বামীর টুইটারের মাধ্যমে। মেইলটির কথা উল্লেখ করে শ্যাম স্বামী ললিত মোদির কাছে প্রশ্ন করেন, এটা নিয়ে আপনি কি বলবেন ললিত মোদি? আইসিসি-র জবাব কি ছিল?
প্রতি উত্তরে ললিত জানান, আমাকে কেনো জিজ্ঞাসা করছেন? আইসিসি, বিসিসিআই, আইপিএল-কে জিজ্ঞাসা করুন। এটা খুব গোপনীয় একটা মেইল। আপনার এটা টুইট করা উচিত নয়।
টুইটারেই অন্য এক ব্যক্তি মোদিকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, আপনার ই-মেইল অন্য কেউ কি ভাবে ফাঁস করে দিল? তার জবাবে মোদি বলেন, নিশ্চয়ই আইসিসি এই ই-মেইল ফাঁস করেছে।
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ললিত মোদির এই ই-মেইল ফাঁস হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট মহলে ঝড় উঠলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিন অভিযুক্ত ক্রিকেটারই চেন্নাই সুপার কিংসের। এমনকি এই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও নিরব থেকেছে।
এসকেডি/আরএস/এমএস