পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাবে ইরান
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলেছেন, তেহরান তাদের প্রতিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরমাণু কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং তাদের পরমাণু উন্নয়ন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে মনে করেন না তারা। খবর আল জাজিরা।
রোববার পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে রুহানি বলেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করাটা বোকামী।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাসান রুহানী (৬৮) বলেন, আমরা পরমাণু কার্যক্রম চালিয়েছি, চালাচ্ছি এবং চালিয়ে যাব। আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রিসলিউশন ২২৩১ অমান্য করিনি।
২০১৫ সালে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেয়ার শর্তে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন। তিনি ওই চুক্তির বিষয়ে অসম্মতি প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এমন নেতিবাচক সাড়া পাওয়ার পরই ইরানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা তাদের পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করবে না।
২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করা হয়। কিন্তু বরাবরই ওই চুক্তির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তার মতে, বিভিন্নভাবে পরমাণু চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছে ইরান। সে কারণে তিনি পরমাণু চুক্তি নতুন করে নবায়নের পক্ষপাতী না। ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে চান ট্রাম্প।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে ওবামা প্রশাসনের সময় হওয়া রিসলিউশন ২২৩১ কে সবচেয়ে খারাপ এবং অপমানজনক চুক্তি বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
ওই চুক্তির আওতায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্তে নিজেদের পরমাণু কার্যক্রম কমিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল ইরান।
ইরানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাদের পরমাণু কার্যক্রমের আওতায় পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনের উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়নি। তাদের এসব কার্যক্রম নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য, পারমাণবিক হামলার উদ্দেশে নয়।
শনিবার ইরানের সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ রেজা পুরদাসতানও দেশের পরমাণু কার্যক্রমের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের আপোষের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আলোচনার কিছু নেই।
টিটিএন/আইআই