যেভাবে নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে বিজিপি


প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ২৫ জুন ২০১৫

১৭ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে নাফ নদী থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার তাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেদিনের অপহরণের ঘটনাটি সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
 
পিলখানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক জানান, ১৭ জুন ভোর রাতে নদীতে বিজিবির দুটি নৌকায় ৩ জন করে ৬ জন টহল দিচ্ছিল। তাদের দলনেতা ছিলেন রাজ্জাক। প্রায় ৫০০ গজ দূরত্বে নৌকা দুটি টহল দিচ্ছিল।
 
ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে নদীতে একটি নৌকা দেখে সন্দেহ হলে সেটিকে সার্চ করে বিজিবি সদস্যরা। সাদা পোশাকে মিয়ানমার থেকে আরেকটি নৌকা ঘটনাস্থলে আসে এবং বিজিবি সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে বিজিবির সিপাহি বিপ্লব গুরুতর আহত হয়। এঘটনার সময় অন্যরা পানিতে পরে গেলে রাজ্জাককে তুলে নিয়ে যায় বিজিপি’র সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে মিয়ানমারের সীমান্তের দূরত্ব ছিল মাত্র ১৫০ গজের মতো। তাই বিজিবির আরেকটি নৌকা আসার আগেই তারা রাজ্জাককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
 
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অপহরণের দেড় ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে সব মহল থেকে রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। ১৮ জুন তাদের লিখিত প্রতিবাদ, ১৯ জুন পতাকা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে উপরের নির্দেশ না পাওয়ায় তারা বৈঠকে বসবে না বলে জানায়।
 
অবশেষে বৃহস্পতিবার তারা পতাকা বৈঠকে রাজি হয় এবং অস্ত্র, মোবাইল, ইউনিফর্ম, টর্চসহ সব আনুসাঙ্গিক জিনিস দিয়ে রাজ্জাককে ফেরত দেয় বিজিপি। এঘটনায় বিজিপি সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে।
 
এদিন বিজিবির দুটি টহল নৌকার মধ্যে ১ থেকে দেড়শ’ গজের দূরত্ব থাকার কথা থাকলেও তাদের দূরত্ব ৫০০ গজের বেশি ছিল। কেন তারা এত বেশি দূরত্বে অবস্থান করছিলো। বিষয়টিও যাচাই করে দেখা হবে বলে জানান আজিজ আহমেদ।
 
এআর/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।