জাকার্তায় আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরো কমপক্ষে ১০ জন।

জাকার্তার পশ্চিমাঞ্চলের তেংগারাংয়ের একটি কারখানায় স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ বলছে, আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরণের পর কালো ধোঁয়া আকাশ ঢেকে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় আহত হয়েছে এক ডজনের বেশি, নিখোঁজ রয়েছে ১০ জন।

তেংগারাং পুলিশের প্রধান হ্যারি কুর্নিয়াওয়ান বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখনো হতাহতদের উদ্ধার করছি। ৪৬ জনের মরদেহ বের করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।

এর আগে প্রাথমিকভাবে ৪৭ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে এক বিবৃতিতে পুলিশ ৪৬ জন নিহত ও আরো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায়। ফায়ারসার্ভিসের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, আগুনে দেহ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় অনেককে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

ওনি সাহরনি মেট্রো টেলিভিশনকে বলেন, পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় নিহতদের কাউকে শনাক্ত করা অসম্ভব।

আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর ভবনের একাংশ ধসে পাশে থাকা বিভিন্ন গাড়ি ও মটরসাইকেলের ওপর পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনাস্থলে তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বেনি বেনতেং এএফপিকে বলেন, তিনি একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এছাড়া ভবনটির ভেতরে থেকে অনেকেই সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করেছিল।

২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েশি দ্বীপের কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৯ সালে সুমাত্রা দ্বীপের মেদানের কারাওকে বারে একই ধরনের অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন মারা যান।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।