১০ লাখ ডলারে বিক্রি হলো আইনস্টাইনের হাতে লেখা নোট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১১ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

খ্যাতনামা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের হাতে লেখা একটি নোট জেরুজালেমে একটি নিলামে ১০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। ওই নোটে জীবনে কী করে সুখী হতে হয় আইনস্টাইন সে সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছিলেন।

তার মতে, দীর্ঘদিনের বাসনা পূরণ হলেই যে কেউ সুখী হবে এমন কোন কথা নেই। আইনস্টাইন ১৯২২ সালে টোকিওতে এক ক্যুরিয়ার কর্মীকে এই নোট বখশিশ হিসেবে দিয়েছিলেন। তিনি সে সময় জাপানে একটি লেকচার ট্যুরে ছিলেন। সেদিনই তিনি জানতে পারেন যে পদার্থবিদ্যায় তিনি নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। এই খবর পাওয়ার পর একজন ক্যুরিয়ার কর্মী তার কাছে আসেন কিছু একটা ডেলিভারি দিতে।

কিন্তু সে সময় বখশিশ দেয়ার কোন নগদ অর্থ বিজ্ঞানীর পকেটে ছিল না। বখশিশের পরিবর্তে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলের ছাপ দেয়া এক কাগজের ওপর তিনি একটি ছোট্ট নোট লিখে তাতে সই করেন।

নোটটি ঐ কর্মীর হাতে দেয়ার সময় তিনি বলেছিলেন যে ভাগ্যবান হলে এই নোট থেকেই একদিন তিনি প্রচুর অর্থ পাবেন। নোটে লেখা ছিল সাফল্যের পেছনে ছোটা এবং তার জন্য জীবনে যে অস্থিরতা আসে তার চেয়ে সুস্থির ও সাদাসিদে জীবন অনেক বেশি শান্তি বয়ে আনবে।

আইনস্টাইনের হাতে লেখা দ্বিতীয় একটি নোটও নিলামে তোলা হয়। এতে লেখা ছিল ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। নিলামে এই নোটটি বিক্রি হয় ২ লাখ ৪০ হাজার ডলারে।

নিলামকারী সংস্থার কর্মকর্তা বলছেন, যে দর ঠিক করা হয়েছিল নিলামে তার চেয়েও বেশি ডাক উঠেছে।
তারা বলছেন, দুটি নোটের একটি কিনেছেন ইউরোপের একজন নাগরিক। তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক।
আর ঐ নোটটি বিক্রি করেছেন সেই ক্যুরিয়ার কর্মীর ভাতিজা।

অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কিছু অমর বাণী হলো:

যে চিন্তার ফসল হিসেবে আমরা কোন সমস্যা তৈরি করি, সেই একই চিন্তা দিয়ে সেই সমস্যাটির সমাধান করা যায় না।

প্রকৃত বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন জ্ঞান নয়, কল্পনাশক্তি।

প্রকৃতি আমাদের কাছে এ পর্যন্ত যা প্রকাশ করেছে, তার এক হাজার ভাগের এক ভাগও আমরা সে সম্পর্কে জানি না।

সুন্দরী নারীর কাছে থাকলে এক ঘন্টাকে মনে হয় এক সেকেন্ড, আর গরম কয়লার ওপর এক সেকেন্ড থাকলে মনে হয় এক ঘন্টা। এটাই রিলেটিভিটি।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।