শরণার্থীদের যৌনকর্মী বানানোর চেষ্টা করছে নিরাপত্তারক্ষীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

জার্মান সিকিউরিটি কোম্পানির কর্মীদের বিরুদ্ধে শরণার্থীদের যৌনকর্মী হওয়ার জন্য প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দেশটির সমাজ কর্মীরা জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ-এর কাছে এ ধরনের অভিযোগ করেন।

সমাজ কর্মীদের অভিযোগ, জার্মানির রাজধানী বার্লিনের শরণার্থী কেন্দ্রে আশ্রিতদের যৌনকর্মী বানানোর জন্য প্রতিনিয়ত প্ররোচিত করছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। যেসব নারীদের পুরুষ অভিভাবক নেই তাদেরকেই প্রথমে টার্গেটে রাখছে তারা।

২০ বছর বয়সী একজন শরণার্থী জার্মান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৩০ থেকে ৪০ ইউরোর বিনিময়ে জার্মানির একজন নিরাপত্তা রক্ষী তাকে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছে।

আফগানিস্তানের একজন শরণার্থী জানান, বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজনে তিনি যৌনকর্মী হয়েছেন। তবে বেঁচে থাকার জন্য এ ধরনের পেশায় নামার কারণে লজ্জিত তিনি।

শরণার্থীদের যৌনকর্মী বানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে জার্মানির শ্রম ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

দীর্ঘদিন ধরেই শরণার্থীদের আবাসনের ব্যাপারে চাপের মধ্যে রয়েছে বার্লিন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি একজন শরণার্থী কিশোর অপহরণের পর নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে জার্মানির।

শরণার্থীদের যৌনকর্মী বানানোর চেষ্টার খবরে উদ্বিগ্ন সিনেট প্রশাসন দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য বদ্ধ পরিকর। শরণার্থী কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের, নিরাপত্তা রক্ষী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকও করবেন তারা।

শ্রম ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, শরণার্থীদের যৌনকর্মী বানানোর চেষ্টার ব্যাপারে কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সমাজ কর্মীরা খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

তিনি আরও জানান, শরণার্থীদের সাহায্যকারী সংস্থার কর্মীরা সেখানে কাজ করছেন। তাছাড়া সেখানে নিযুক্ত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভাবষ্যতে এ ধরনের সমস্যা না থাকারই কথা।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ

কেএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।