উত্তরসূরি রাখলেন না শি জিনপিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

কোনো উত্তরসূরি না রেখেই চীনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টির পোলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অতীতে দলটির শীর্ষস্থানীয় এই কমিটিতে প্রেসিডেন্টের উত্তরসূরির রাখার প্রথা থাকলেও এবারে তা উপেক্ষিত হয়েছে।

পোলিটব্যুরোর সাত সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম ঘোষণা করেছেন শি জিনপিং। যারা মূলত দেশটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সাতজনের এই তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছেন পাঁচজন; আগে থেকেই কমিটিতে আছেন শি জিনপিং এবং লি কিচিয়ান। নতুন সদস্যরা হলেন, লি ঝানশু, ওয়াং ইয়াং, ওয়াং হুনিং, ঝাও লেজি এবং হ্যান ঝেং।

কমিটির সদস্যরা আগামী ৫ বছরের জন্য দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। কমিটিতে শি’র কোনো উত্তরসূরী না রাখায় নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। তবে দেশটির শাসনক্ষমতায় নিজের পথ দীর্ঘ করতেই শি উত্তরসূরী রাখেননি বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।

শি ছাড়া কমিটিতে যে ছয় সদস্য আছেন তাদের প্রত্যেকর বয়স ৬০ বছরের উপরে। বিবিসির চীনা বিষয়ক সম্পাদক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছররের মেয়াদে তাদের অবসরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কমিটিতে তরুণ কোনো নেতা না থাকায় নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। শি হয়ত আগামী পাঁচ বছরের বেশি মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকবেন।

গত কয়েক দশকে চীনের অনেক নেতাই নিজেদের উত্তরসূরিকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে শি জিনপিং বলেছেন, উন্নয়নের একটি নতুন যুগে চীন প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেছেন, আমাদের অবশ্যই এমন হতে হবে যাতে মানুষ অনুকরণ করে। নতুন যুগে আমরা, পার্টিকে গঠনের কথা মাথায় রেখে নিজেদের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন করবো। নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্টমণ্ডিত সমাজতন্ত্রের জন্য আমরা নিজেদের উৎসর্গ, এবং নিজেদের প্রজ্ঞা ও শক্তিকে পার্টি এবং দেশের কাজে লাগাবো।

চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হংকং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ’-এর অধ্যাপক উইলি লাম বলেন, ‘শি এখন চাইলে সারা জীবনের জন্য সম্রাট হয়ে থাকতে পারেন। তার শরীর যত দিন সায় দেবে, চাইলে ততদিনই তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। পার্টি কংগ্রেসের পরে পরিস্থিতি যা দাঁড়াল তাতে ২০২২ সালে দ্বিতীয় দফার শাসন শেষ হওয়ার পরেও ইচ্ছে হলে ক্ষমতায় থাকতে পারেন জিনপিং।

কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতাদর্শকে তাদের গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভূক্ত করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের কাতারে এসেছেন শি জিনপিং। ২০১২ সালে নেতা হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে তার ক্ষমতা দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।

এসআইএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।