স্কটল্যান্ডবাসীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ
গণভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ডবাসীর ভাগ্য। দেশটির স্বাধীনতার প্রশ্নে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণভোট। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভোট দিতে গ্রহণ করা হবে। দেশটির ২ হাজার ৬০৮টি কেন্দ্রে হ্যাঁ-না ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্কটল্যান্ডের কি স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়া উচিত? ব্যালটে এই প্রশ্ন লেখা থাকবে। এর নিচেই থাকবে হ্যাঁ এবং না। ভোটারের তালিকায় রয়েছেন মোট ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৩ জন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ।
এই গণভোটে ভোটার উপস্থিতির নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভোট গ্রহণ শেষে স্কটল্যান্ডের স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের ৩২টি এলাকায় ভোট গণণা করা হবে।
স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গ থেকে গণভোটের প্রধান গণনাকারী কর্মকর্তা ম্যারি পিটক্যাথিলি বিবিসিকে জানান, শুক্রবার সকালে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ইলেকশন স্কটল্যান্ডের ভাষ্য মতে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা হতে পারে।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত তিনটি জনমত জরিপে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত না ভোট এগিয়ে রয়েছে। ডেইলি টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল ও স্কটসম্যান-এর প্রকাশিত এসব জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশই না ভোটের পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিপরীতে ৪৮ শতাংশ মত দিয়েছেন হ্যাঁ ভোটের পক্ষে। এখনও সিদ্ধান্ত না দেওয়া প্রায় ৫ লাখ ভোটারকে এই জরিপগুলোতে রাখা হয়নি। এদের ভোটের ওপর নির্ভর করবে স্কটল্যান্ডের ভাগ্য।
প্রসঙ্গত, এই গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে স্কটল্যান্ড ও ব্রিটিশ ইউনিয়নের ভাগ্য। ৩০৭ বছরের পুরনো ব্রিটিশ ইউনিয়ন ভেঙে সৃষ্টি হতে পারে নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।