রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৭ পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৩ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত পরিসরে কাজ করা এবং দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য সব রকম সেনা সরঞ্জামাদি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চলমান নিষেধাজ্ঞাসহ, জবাবদিহিতা এবং সহিংসতা বন্ধের জন্য ৭ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলা হয়।

পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে : গত ২৫ আগস্ট থেকে বর্তমান ও সাবেক মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের জন্য ‘জেড’ অ্যাক্ট ভ্রমণ শিথিলতার সম্ভাবনা বন্ধ; সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অবরোধের উপায়গুলো নিয়ে ভাবতে ‘জেড’ অ্যাক্টের অধীনে সুযোগগুলো খতিয়ে দেখা ; ‘লেহি আইন’ অনুসারে বার্মার উত্তরে রাখাইন রাজ্যের সামরিক কর্মকাণ্ডে যেসব কর্মকর্তা ও ইউনিট জড়িত তাদের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপ্রাপ্ত কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হবে না।

পদক্ষেপে আরও রয়েছে : মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপ্রাপ্ত কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান করতে না পারেন সে জন্য ইতোমধ্যে প্রদত্ত আমন্ত্রণ বাতিল; আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমকে প্রয়োজনীয় এলাকায় অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান; যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বন্ধু সহযোগিদের সঙ্গে জাতিসংঘ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ও অন্যান্য যথাযথ অবস্থানে বার্মার জবাবদিহিতার বিষয়ে আলোচনা; যুক্তরাষ্ট্রের আইনের অধীনে জবাবদিহিতার পদ্ধতি খুঁজে দেখা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কির নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বার্মা একটি অর্ধশতাব্দীর কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রযাত্রার দিকে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এই উত্তরণ এবং নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে সমর্থন করে যার গুরুত্ব রয়েছে বার্মার সকল জনগণের এবং যুক্তরাষ্ট্র-বার্মার অংশীদারিত্বের স্বার্থে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি অর্জনে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত ঘটনাগুলোর জন্য রোহিঙ্গারা অমানসিক নির্যাতন সহ্য করেছে। যে যেকোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান ফের নৃশংসতার শিকার হলে দায়ীদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বার্মার গণতন্ত্রের উত্তরণে সমর্থন অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে বর্তমান সংকট সমাধানে কাজ করে যাবে আমেরিকা। বার্মা সরকার ও তাদের সামরিক বাহিনীকে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এইউএ/এআরএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।