মাও সেতুংয়ের পর শি জিনপিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

চীনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতাদর্শকে তাদের গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভূক্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। এর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের কাতারে এলেন শি জিনপিং।

চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠক কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের শেষের দিকে ‘শি জিনপিংয়ের ভাবনা’কে দলীয় সংবিধানে অন্তর্ভূক্তির পক্ষে একচেটিয়া ভোটে সকলেই সম্মতি জানায়।

২০১২ সালে নেতা হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে তার ক্ষমতা দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, সংবিধানে শি জিনপিংয়ের ভাবনা অন্তর্ভূক্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে চীনের এই প্রেসিডেন্ট যদি এখন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তাহলে তা কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচিত হবে।

বেইজিংয়ের গ্রেট হলে কমিউনিস্ট পার্টির ওই কংগ্রেসে দুই হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সংবিধানে ‘নতুন যুগে শি জিনিপিংয়ের চীনা সমাজতান্ত্রিক চিন্তা’ অন্তর্ভূক্তির জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

সব প্রক্রিয়া শেষের পর প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসা করা হয় এ ব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি আছে কিনা, বেইজিংয়ের গ্রেট হল থেকে সাংবাদিকরা বলছেন, এসময় উচ্চস্বরে শোনা যায় ‘না’। এর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের মতাদর্শ কিংবা চিন্তা-ভাবনা দলীয় সংবিধানে জায়গা পেয়েছে। কিন্তু একমাত্র মাও সেতুংয়ের ‘চিন্তা’ চীনা সমাজতন্ত্রের দর্শন হিসাবে বিবেচিত হয়; যা এখন পর্যন্ত দেশটির সমাজতন্ত্রের শীর্ষ আদর্শের জায়গায় রয়েছে।

দলীয় মতাদর্শে শুধুমাত্র মাও সেতুং এবং ডেং জিয়াওপিং’র নাম যুক্ত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আধুনিক চীনের রূপকার মাও সেতুংয়ের কাতারে উঠে এলেন শি। সংবিধানে ডেংয়ের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয় তার মৃত্যুর পর। চীনের নতুন স্লোগান মানুষের মুখে খুব কমই ঘুরছে। কিন্তু স্কুল শিশু, কলেজ শিক্ষার্থী ও সরকারি কারখানার শ্রমিকরা এখন থেকে ৯ কোটি কমিউনিস্ট পার্টির সদ্যস্যের তালিকায় যোগ দেবে। দলীয় সব সদস্যকেই এখন থেকে চীনা বৈশিষ্ট্যে সমাজতন্ত্রের নতুন যুগে শি জিনপিংয়ের ভাবনা পাঠ করতে হবে।

নতুন যুগের যাত্রা শুরুর কমিউনিস্ট পার্টির এই অগ্রযাত্রাকে আধুনিক চীনের তৃতীয় পর্যায় হিসাবে বলছে কমিউনিস্ট পার্টি। গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত একটি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যদি চেয়ারম্যান মাও সেতুংকে প্রথম পর্যায় হিসাবে ধরা হয় তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশটির সমৃদ্ধির নায়ক ডেং জিয়াওপিং। তবে তৃতীয় পর্যায়ের নতুন এই যুগে ঐক্য এবং সম্পদ দেশের ভেতরে এবং বাইরে চীনকে আরো বেশি সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী করেছে।

সূত্র : বিবিসি।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।